সুতপা সেন: শিল্প হবে, চাকরি হবে। জেলায় জেলায় বহু উন্নয়ণমূলক কাজ তো করাই হয়েছে। তা আরও বাড়বে। কিন্তু চাকরি দিতে গেলেই সিপিএম-বিজেপি মামলা করে দিচ্ছে। ওদের একটু মায়া হয় না? বেকার ছেলেরা চাকরি পাবে। আরামবাগে হুগলি জেলার একগুচ্ছ উদ্বোধন, শিলান্যাস ও সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে এভাবেই বিরোধীদের আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-জলের চাপ পড়তেই ২ দিনে ভেঙে পড়ল নবনির্মীত জলের ট্যাঙ্ক


জেলার একাধিক রাস্তা তৈরি, নদী সংস্কার, সেতু তৈরির কথা ঘোষণা করে মমতা চলে আসেন জেলায় শিল্প তৈরির ব্যাপারে। তিনি বলেন, এবার শিল্প হবে। চারদিকে চাকরি চাই, চাকরি চাই আওয়াজ। আমরা চাই ৫ লক্ষ মানুষকে নিয়োগ করতে। কিন্তু সিপিএম ও বিজেপি নেতাদের বলুন দয়া করে বেকার যুবক যুবতীদের ভবিষ্যত নষ্ট করবেন না। কোর্টে যে কেউ যেতে পারে। এটা তার অধিকার। এত শিক্ষক লাগবে। এত লোকের চাকরি হবে। এত পোস্ট খালি রয়েছে। আপনাদের মায়া লাগে না? আপনাদের জন্য নিতে পাচ্ছি না। এই কয়েকটা সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি নেতার জন্য। কয়েকটা ফুরফুরের জন্য। উড়ে বেড়াচ্ছে। চাকরি পেলে তাদের লোকসান। তারা চায় না পুলিসে লোক নেওয়া হোক। পুলিসে ৬০ হাজার নিয়োগ হবে, প্রায় ১ লাখ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। বিভিন্ন  দফতরে প্রায় ৫ লাখ নিয়োগ হবে। যেই আমরা রেডি করছি তেমনি টুক করে একটা কেস ঠুকে দিচ্ছে। দিয়ে, হাসতে হাসতে বলেছে, চাকরিটা করতে দেব না। জমিদারি পেয়ে গিয়েছে! সাহস থাকলে ভোটে লড়ুন। রাস্তায় নেমে গণতন্ত্রের রাজনীতিটা করুন। দুর্নীতি করবে না। এটাও এক ধরনের দুর্র্নীতি। যান রেলে গিয়ে খোঁজ নিন। কত দুর্নীতি করেছেন খোঁজ নিন। কই আমরা তো বাধা দিই না! যাক কিছু চাকরি তো হচ্ছে? ডিফেন্স কী করেছেন? কই আমরা তো বলি না! যাক মানুষ তো খেয়ে বাঁচছে। মনে রাখবেন, চাকরিবাকরি আটকাতে নেই।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, আমরা থাকলেই বিনা পয়সায় রেশন পাবেন, লক্ষ্ণীর ভান্ডার পাবেন, শিক্ষাশ্রী পাবেন, মেধাশ্রী পাবেন, রাতঘাট সেতু পাবেন। ২০২১ সালের ভোটের আগে ৩টে কথা বলেছিলাম। রেশন পাচ্ছে তো? লক্ষ্মীর ভান্ডার দেবে বলেছিলাম, কৃষক বন্ধু দেবে বলেছিলাম। পাচ্ছেন তো? আমরা রাজ্যে ৬ টা ইকোনমিক করিডোর করে দিচ্ছি। এর দুধারে তৈরি হবে শিল্প। ডানকুনি-কল্যাণী। ডানকুনি-বাঁকুড়া -পুরুলিয়া হয়ে রঘুনাথপুর, ডানকুনি-মালদহ, ডানকুনি-হলদিয়া, পানাগড়-কোচবিহার। এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের চাকরি হবে।  পরিযায়ী শ্রমিকরা যে যেখানে কাজ করেন তাদের জন্য সরকার পাশে রয়েছে। তাদের ৫ লাখ টাকা হেলফ ইন্সোরেন্স দেওয়া হবে।


কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, বাংলার জন্য সব বন্ধ। বাংলার বাড়ি বন্ধ, বাংলার রাস্তা বন্ধ, একশো দিনের কাজ বন্ধ। আগে একশো দিনের কাজের কথা বলা হতো, কিন্তু হতো কাজ ৪০-৪৫ দিন।‌ কিন্তু আমরা ঠিক করেছি আমরা নিজেদের থেকেই বছরে ৫০ দিন কাজ দেব। এই প্রকল্পের নাম কর্মশ্রী। ছেলেরাও যেমন ঘরের সম্পদ, মেয়েরাও তেমনি ঘরের সম্পদ। এটা মনে রাখবেন। যখন যেটা প্রয়োজন, দিদির কাছে আবদার করবেন। দিদি তার সামর্থ্য অনুযায়ী করে দেবে। আমি যদি কখনও কাউকে কথা দিই, তাহলে আমি মরে যেতেও রাজি আছি, কিন্তু কথার খেলাপ আমি করি না, করব না।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp)