প্রবীর চক্রবর্তী:রাজ্য রাজনীতিতে ফের উঠে এল সিঙ্গুর। বুধবার শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে শিল্প নিয়ে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, সিঙ্গুর থেকে টাটাদের তাড়িয়েছে সিপিএম। আমরা বরং চাষীদের জমি ফেরত দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক তরজা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, কেউ কেউ বাজে কথা বলে বেড়াচ্ছে। বলছে, আমি টাটাদের তাড়িয়ে দিয়েছি। আর টাটা এখন চাকরি দিচ্ছে। টাটাকে আমি তাড়াইনি। সিপিএম তাড়িয়েছে। পলিটিক্য়াল কথা এখানে আমি বলতে চাই না। আপনারা লোকের জমি জোর করে দখল করতে গিয়েছিলেন। আমরা জমি ফেরত দিয়েছি। জায়গার তো অভাব নেই! কেন জোর করে জমি নেব? এত প্রজেক্ট তো আমরা করেছি, জোর করে তো জমি নিই নি! আমরা চাই সবাই বেঙ্গল ইনভেস্ট করুক। এখানে মানুষের চাকরি হোক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কংগ্রেসে দখল গান্ধীদেরই, নতুন সভাপতি খাড়গে 


সিঙ্গুর থেকে টাটাদের চলে যাওয়ার পেছনে তৃণমূলকেই দায়ী করে সিপিএম ও বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, টাটাদের চলে যাওয়াতে বাংলার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে তাই শিল্পপতিরা এরাজ্যে আসতে চাইছেন না। বিরোধীদের সেই দাবিকে পালটা নিশানা করলেন মমতা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ওই দাবি নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কথা শোনা বা উত্তর দেওয়ার ইচ্ছে আজকাল হয় না। মিথ্যাশ্রী বলে কিছু থাকলে তা ওঁর প্রাপ্য। উনি এত অসত্য বলেন যে এর কী উত্তর দেবেন? রাজ্যে চাষীদের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব বামফ্রন্ট নিয়েছিল। এখন সিঙ্গুরে শিল্পও নেই, চাষও হচ্ছে না। এর জন্য যিনি দায়ী তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


মমতা এদিন বলেন, রাষ্ট্রসংঘ বাংলাকে পর্যটনের গন্তব্য হিসেবে পুরস্কার দিচ্ছে মার্চে আমি সেই সম্মান নিতে যাব। ফলে উত্তরবঙ্গে পর্যটনের উপরে জোর দিতে হবে। এর আগে কন্যাশ্রীর জন্য সম্মান পেয়েছি। আমার চাই উত্তরবঙ্গ নিজের পায়ে দাঁড়াক। মানুষ এখানে আসতে চায়। অনিকদের বলেছিলাম, শিলিগুড়ি, কালিম্পংয়ে সুযোগ সুবিধে বাড়াও। কোচবিহার এখন ভালো পর্যটন কেন্দ্র। আমরা চাই উত্তরবঙ্গের উন্নতি হোক। এখন সরকার অনেক সুয়োগ সুবিধে দিচ্ছে। বারো ক্লাস পাস করলেই ট্যাব পাওয়া যাচ্ছ। দুয়ারে সরকার ফের চালু হচ্ছে। ডিএম, এসপিদের বলব, মানুষ কোনও সমস্যা নিয়ে গেলে তার গুরুত্ব দিয়ে দেখুন। সাংবাদিক বন্ধুদেরও বলব আপনারা সহযোগিতা করুন।



পৃথক কোচ রাজ্য চাই বলে প্রায়ই ভিডিয়ো বার্তা জারি করে হুমকি দেন কেএলও নেতা জীবন সিং। তাঁর দাবি, কোন যুক্তিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারকে বঙ্গ হিসেবে দাবি করেন? কামতাপুরের মানুষের উপরে কলকাতার শাসন চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। নাম না করে কেএলও প্রধানের ওই হুঁশিয়ারির জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শিলিগুড়ির কাওয়াখালী গ্রাউন্ডে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে অনন্ত মহারাজকে পাশে বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে বলব ভালো করে কাজ করুন। কোনও ভাগাভাগি নয়। ভঙ্গ টঙ্গ নয়। আমরা চাই সঙ্গ। বঙ্গ চায় সঙ্গ। 


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)