মৌমিতা চক্রবর্তী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একদিকে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF)। আর একদিকে কংগ্রেস (Congress)। এই দুই দলকে নিয়ে 'শ্যাম রাখি না কুল রাখি' অবস্থা সিপিএমের (CPM)। সূত্রের খবর, ১৭টি আসনকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মতানৈক্য। পরিস্থিতি এমন, তিন শক্তির একমঞ্চে আসার সম্ভাবনার 'অকালমৃত্যু'ও হতে পারে।


আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddique) দলের সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী সিপিএম (CPM)। অন্যদিকে, কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে আগে থেকেই কথা চলছে, রফাও প্রায় পাকা। অধীর চৌধুরী ও বিমান বসু যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেছেন, সমঝোতা চূড়ান্ত। তবে কোন সমীকরণে রফাসূত্র মিলল, তা ভাঙতে চাননি। আইএসএফের (ISF) সঙ্গে তখনও অবশ্য আসন বণ্টন চূড়ান্ত করতে পারেনি বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব।  যে ৫০টি আসনের তালিকা আইএসএফ দিয়েছে, তার মধ্যে পড়ছে কংগ্রেসের পছন্দের আসনও। সূত্রের খবর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর জেলার ১৭টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আসনই বিবাদের কেন্দ্রে। সেগুলি নিয়ে কংগ্রেস ও আইএসএফ কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। আইএসএফের চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠকেও বসেছেন মহম্মদ সেলিম ও আবদুল মান্নানরা। বৈঠক শেষে আলাদা করে সিপিএম নেতাদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন নওশাদ। তিনি স্পষ্ট করেছেন, ৫০টির কম আসনে সমঝোতা অসম্ভব। কংগ্রেসের অনড় অবস্থানে রীতিমতো ক্ষুব্ধ আব্বাস সিদ্দিকিরা। 


আরও পড়ুন- Exclusive: 'NIA আসবেই, CBI-কে তদন্তভার দিন,' Mamata-র ষড়যন্ত্র-মন্তব্যে Kailash


এ দিকে, সূত্রের খবর, আইএসএফ কার্যত 'আল্টিমেটাম' দিয়েছে কংগ্রেসকে। আব্বাসরা জানিয়ে দিয়েছেন, আর অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। কংগ্রেসকে আগামিকাল, শুক্রবারই জানাতে হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এমতাবস্থায় চাপে আলিমুদ্দিন নেতৃত্ব। কংগ্রেস ও আইএসএফ-কে সঙ্গে নিয়েই শক্তিশালী জোটের ভাবনায় বিমান বসুরা। এখন দুই সম্ভাব্য় শরিকের কাজিয়ায় দোটানায় তাঁরা। যদি কংগ্রেস ও আইএসএফের বনিবনা না হয়, সেক্ষেত্রে কী কৌশল নেবে আলিমুদ্দিন? কংগ্রেসকে ছেড়ে আইএসএফের হাত ধরা হবে, না উল্টোটা? নাকি নিজেদের ভাগ থেকে আসন ছেড়ে ম্যানেজ দেবেন সিপিএম নেতারা? নানা সম্ভাবনার পথই খোলা। লোকসভা ভোটে জোটের আলোচনার শেষ পরিণতি কী হয়েছিল, সে তো সকলেরই জানা। 


আরও পড়ুন-  'বাংলায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বিজেপি', শাহের Exclusive 'শাহি সমাচার'