নিজস্ব প্রতিবেদন: সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান। রাজ্যে সিপিএমের পয়লা দুশমন এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। কিন্তু, সঙ্কটকালে রাজনীতির লড়াই ভুলে প্রতিদ্বন্দ্বীর পাশে দাঁড়ালেন হাবড়ার সিপিএম নেতা ঋজিনন্দন বিশ্বাস। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন হাবড়া পুরসভার প্রশাসক তৃণমূল নেতা নেতা নীলিমেশ দাস। তা জানতে পেরে হাসপাতালে প্লাজমা দিতে ছুটে যান ঋজিনন্দন। তবে কিছু সমস্যা থাকায় তাঁর প্লাজমা নেননি চিকিৎসকরা। ঋজিনন্দনের এমন পদক্ষেপে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রশংসা। সিপিএমের বক্তব্য, রং না দেখে দল সবসময় মানুষের পাশে থাকে।           


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্তমান আবহে রাজনৈতিক সৌজন্য বিরল। তেমন বিরল ঘটনা চাক্ষুষ করলেন হাবড়াবাসী। করোনা আক্রান্ত নীলিমেশ দাসের চিকিৎসা চলছে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তি হাবড়া পুরসভার প্রশাসক। ওই খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে প্লাজমা দান করতে চান সিপিএম নেতা ঋজিনন্দন বিশ্বাস। গত অগাস্টে অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় তাঁর করোনা ধরা পড়েছিল। কিন্তু তাঁর প্লাজমা গ্রহণ করেননি চিকিৎসকরা। হাসপাতালের যুক্তি, ঋজিনন্দনবাবুর লালরসের নমুনা পরীক্ষায় করোনার অস্তিত্ব মেলেনি। তাই প্লাজমা নেওয়া যায়নি। 


চিকিৎসকদের এমন যুক্তি শুনে খানিকটা অখুশি ঋজিনন্দন বিশ্বাস। তাঁর কথায়,''সরকারি নির্দেশিকায় তো রয়েছে, অ্যান্টিজেন টেস্টে ধরা পড়লেও তাঁকে করোনা রোগী হিসেবেই দেখতে হবে। তাহলে এটা কী ধরনের যুক্তি হতে পারে! '' বিরোধী দলের নেতার এমন সৌজন্যে তৃণমূল নেতা নীলিমেশবাবুর প্রতিক্রিয়া,  ''এটাই হাবড়ার রাজনৈতিক কালচার।''     


আরও পড়ুন- আল কায়দা যোগে ধৃত আবু সুফিয়ানের বাড়িতে এবার মিলল অস্ত্র কারখানার হদিশ