মৌমিতা চক্রবর্তী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সময় গিয়েছে গোটা দশক পার। রাজপাট যাওয়ার পর ক্রমশ ক্ষীণ হয়েছে সিপিএম। দাপট গিয়েছিল আগেই, ক্ষইতে ক্ষইতে এখন অস্তিত্বরক্ষার সংগ্রাম। যে পথে এক সময় লাল পতাকা ছাড়া অন্য কিছু নজরে আসত না সেখানে দু'ধারে দুলছে ঘাসফুল। উঁকি দিচ্ছে পদ্মও। দ্বিমুখী ফলায় ক্ষয় যেন দ্বিগুণ হয়েছে লাল শিবিরে। তাই জমি উদ্ধারে ফের কৃষকসভার মুখাপেক্ষী আলিমুদ্দিন। 


বুধ ও বৃহস্পতিবার সিপিএমের সিঙুর থেকে রাজভবন অভিযানকে কেন্দ্র করে রাজ্যে বাম জনতার মনে যে হিল্লোল উঠেছে তাতে আশার আলো দেখছে সিপিএম। কৃষকসভার উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। বহু বছর পর বামেদের মিছিলে দেখা গিয়েছিল সেই চেনা ছবি। মিছিলের স্বতঃস্ফূর্ততাও ছিল চোখে পড়ার মতো। আর তার পরই ফের কৃষকসভার দিকে নজর ফিরেছে সিপিএম নেতাদের। কৃষকসভাকে সামনে রেখেই ফের উত্থানের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। 


চোলাই বিক্রির টাকা যায় অভিষেকের ঘরে, শান্তিপুরে দাঁড়িয়ে দাবি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র


তবে গত প্রায় ১ দশক কৃষকসভার সঙ্গে আলিমুদ্দিনের সম্পর্ক তেমন ভাল ছিল না। বিশেষ করে শেষ বাম সরকারের শিল্পনীতি কার্যকরের প্রক্রিয়া নিয়ে বারবার অভিযোগ তুলেছিলেন কৃষকসভার নেতারা। এমনকী সিঙুর ও নন্দীগ্রামে জমি অধিগ্রহণের আগে কৃষকসভার পরামর্শ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শোনেননি বলেও অভিযোগ ছিল তাদের। এর পরই ক্রমশ দুপক্ষের সম্পর্কের ফাটল চওড়া হয়। আর ততই মাটি হারাতে থাকে সিপিএম। 


রাজ্যপাট যাওয়ার পর দীর্ঘ শীতঘুমের পর সম্প্রতি নানা কর্মসূচি নিয়ে প্রাসঙ্গিকতা খুঁজছে বামেরা। বাম জনতাকে একজোট করতে BPMO-নামে সংগঠন গড়ে জাঠা কর্মসূচির আয়োজন হলেও তেমন সাড়া পড়েনি। ফলে সেই পরীক্ষার সেখানেই ইতি টেনেছেন আলিমুদ্দিনের নেতারা। কিন্তু বুধ ও বৃহস্পতিবার কৃষকসভার কর্মসূচি নজর কেড়েছে তাদের। যে সিঙুর থেকে বামেদের পতনের সূত্রপাত, সরাসরি সেখান থেকে কর্মসূচির সফল সূচনা করে চমকে দিয়েছেন কৃষকসভার নেতারা। আর তার পরই রাতারাতি ৩ ফেব্রুয়ারির সিপিএমের ব্রিগেড সমাবেশের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে কৃষকসভার হাতে। 


আবার চাকরির সুযোগ, আপার প্রাইমারিতে হাজার হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কৃষকদের থেকে দূরে সরে গিয়ে সিপিএমের এই করুণ পরিণতি হয়েছে তাদের কাছে ফিরলে সিপিএমেরও স্বাস্থ্য ফিরতে পারে। ফের সোজা হয়ে দাঁড়াতে কোমরেই চিকিত্সা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তবে জমি ফিরে পেতে জন্য দরকার ক্ষিপ্র নেতৃত্ব ও সুচতুর পরিকল্পনার। নেতৃত্বে কৃষকসভা থাকলেও তাই প্রতিটি শাখা সংগঠনকে কাজ করতে হবে একযোগে। তবে তার আগে আবার একটা বড় পরীক্ষায় বসতে হবে কৃষকসভার নেতাদের। আগামী ২৭ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযানে টের পাওয়া যাবে উত্তরবঙ্গে সংগঠনের জোর।