নকিবউদ্দিন গাজি: বাঘ-কুমীরের সঙ্গে বসবাস। সতর্ক থাকতেই হয় সুন্দরবন এলাকার মানুষজনকে। কিন্তু গ্রামের রাস্তায় লম্বা হয়ে কুমীর শুয়ে থাকবে এমনটা হয়তো ভাবতে পারেননি গ্রামবাসীরা। তবে সাত সকালে সেরকমই একটি ঘটনায় তোলপাড় কাকদ্বীপের ফটিকপুরে। খবর পেয়ে ছুটে এল বন দফতর, পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'নোলানের সিনেমার চেয়ে চন্দ্রযানের বাজেট কম!' এবার এলন এলেন মঞ্চে 


লোকালয়ে কুমীর ঢুকে পড়েছে এমন ঘটনা আকছারই ঘটে সুন্দরবনের গ্রামগুলিতে। বর্ষার সময় তো কথাই নেই। কিন্তু চোখের সামনে কুমীর দেখে ভিড়মি খাওয়ার জোগাড় ফটিকপুরের শাসমল পাড়ার মানুষজনের। সকালে হাঁটতে বেরিয়ে অনেকে কুমীরটিকে দেখতে পান। হইচই শুরু হতে সেটি পাশের পুকুরে নেমে যায়। বনদফতর ও পুলিসের সহযোগিতায় সেই পুকুরে জাল টানার কাজ শুরু হয়ে যায়। আতঙকে কাঁটা হয়ে রয়েছেন গ্রামের মানুষজন। পাম্প দিয়ে পুকুরের জল কম করার চেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশি কুমীরের সন্ধানে তল্লাশি চালায় বন দফতর। শেষপর্যন্ত জালে পড়ে যায় কুমীরটি।



গত ফেব্রুয়ারি মাসেই পাথরপ্রতিমার শ্রীধরনগর এলাকায় কৃষ্ণ দোলুই ঘাটে পাড়ায় ঢুকে পড়ে একটি কুমীর। এলাকার বাসিন্দারা পুকুরের কাছে কুমীরটিকে একটি ছাগলকে চিবিয়ে খেতে দেখেন। ওই দৃশ্য দেখে হইচই শুরু হয়ে যায় এলাকায়। বিপদ বুঝে ছাগল-সহ কুমির ঝাঁপ দেয় পুকুরে। তীব্র উত্তেজনার কিছু তখনকার মতো তলিয়ে যায় জলে। এদিকে কুমিরের খবর পেয়েই পুকুরপাড়ে লোকজন জড়ো হতে থাকে। খবর দেওয়া হয় গোবরধনপুর কোস্টাল থানা এলাকায়। খবর যায় বন দফতরেও। পুলিস এসে তখনকারমতো ভিড় কিছুটা সামাল দেয়। সন্ধে নাগাদ চলে আসে বন দফতরের কর্মীরা। অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় রাতে কিছুটা দেরিতে কুমির ধরার চেষ্টা শুরু করে বনদফতর। সারারাত লাইট জ্বালিয়ে পুকুর পাড়ে পাহারা দেয় বনকর্মীরা।


বহু চেষ্টার পর রাতেই কুমিরটি ধরা পড়ে বন দফতরের জালে। সেটির দৈর্ঘ ১১ ফুট।  রাতেই কুমিরটিকে নিয়ে যাওয়া হয় পাথরপ্রতিমা কুমির প্রকল্পে। প্রাথমিক চিকিত্সার পর সেটিকে নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। এভাবে বহুবার সন্দুরবনের জনবসতি এলাকায় কুমির ঢুকে পড়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। পাথর প্রতিমার ওই ঘটনায় এলাকার মানুষ বেশ কিছুটা আতঙ্কিত।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)