নিজস্ব প্রতিবেদন : আবার বোম উদ্ধার হল আমডাঙ্গায়। পুকুরে ধারে মাটিতে গর্ত করে প্রচুর বোমা জ্যারিকেন ভর্তি করে লুকিয়ে রাখা ছিল। পুলিসি তল্লাশিতে উদ্ধার হয় সেই সব বোমা। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন পুকুর পারেই বোমা তৈরি করে মাটির তলে লুকিয়ে রাখা হত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাটির তলে বোমা পোঁতা রয়েছে। যেন সীমান্তে যুদ্ধক্ষেত্র। শত্রু সেনাকে ঘায়েল করতে মাইন পোঁতা রয়েছে। ভয়াবহ চিত্র আমডাঙায়। গ্রামের সামান্য বাইরে পুকুর পারে বোমা তৈরির কারখানা। নরম মাটিতে সামান্য গর্ত করে পোঁতা রয়েছে জ্যারিকেন ভর্তি করে বোমা। শনিবার তল্লাশিতে ফের বোমা উদ্ধার হল আমডাঙায়। উদ্ধার করা হয়েছে বোমা তৈরির সূতলি, কৌটা।


আরও পড়ুন, স্বামীকে নগ্ন করে থানায় টেনে নিয়ে গেল স্ত্রী!


এদিকে শানিবারই আমডাঙা যাওয়ার কথা ছিল কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর। কিন্তু আমডাঙায় ঢোকার আগেই তাঁর পথ আটকায় পুলিস। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এদিন নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় আমডাঙায়। এলাকা জুড়ে পুলিসের তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


উল্লেখ্য, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে ঘিরে ২৮ অগাস্ট রাতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে আমডাঙা। শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে প্রাণ হারান ২ তৃণমূল কর্মী ও ১ সিপিএম কর্মী। আহত হন কমপক্ষে ১৬ থেকে ১৭ জন। এই ঘটনার পরপরই আমডাঙা থানার ওসি ও সাব-ইনস্টপেক্টরকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে আমডাঙা থানার আইসি মানস দাস ও উত্তর ২৪ পরগনার ডিএসপি (সদর) কল্যাণ রায়কেও।


প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত ভোটে ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতই ছিল তৃণমূলের দখলে। এবারও ৩ পঞ্চায়েতেই বাকিদের তুলনায় বেশি আসন পায় তারা। কিন্তু, বিরোধীরা জোট বাঁধায় ঘুরে যায় হাওয়া। তারাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৯টি আসনের মধ্যে এবার ৯টি আসন পায় তৃণমূল। ৭টি আসন পায় সিপিএম। ১টি করে আসন পান কংগ্রেস, বিজেপি ও নির্দল প্রার্থীরা। সূত্রের খবর, বাকিরা সমর্থন করায় বোর্ড গঠনের দৌড়ে তৃণমূলকে পেছনে ফেলে দেয় সিপিএম। বোদাই পঞ্চায়েতেও একই ছবি। ১৫টি আসনের মধ্যে ৭টি আসন পায় তৃণমূল। সিপিএম ৪টি এবং বিজেপি ও নির্দল পায় ২টি করে আসন। এখানেও তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে বিজেপি ও নির্দল প্রার্থীরা সিপিএমকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন।


আরও পড়ুন, ছিপে হ্যাঁচকা টান, বড়শি টানতেই উঠল ৬ কিলোর রাঘব বোয়াল


অন্যদিকে, মরিচ গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০টি আসন। তৃণমূল ও বিজেপি ৯টি করে আসন দখল করে। ২টি আসন পায় সিপিএম। এখানে আবার ছবিটা উল্টো। এই পঞ্চায়েতে বিজেপিকে বোর্ড গঠনে সমর্থন দিতে এগিয়ে আসে সিপিএম। মরিচ গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখলের বিনিময়েই তাড়াবেড়িয়া ও বোদাইয়ে সিপিএমকে সমর্থন দিতে রাজি হয় বিজেপি। বিরোধীদের বোঝাপড়ায় ক্ষমতা দখলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েও তৃণমূলের যাত্রাভঙ্গের সম্ভাবনা তৈরি হয়। আর তাই নিয়েই আমডাঙায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।