অনুপ কুমার দাস: প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে বিতর্কে কৃষ্ণনগর পুরসভা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, প্রতিমা বিসর্জন ঘটে প্রতিমা জলে দেওয়ার আগে প্রতিমার, ইলেকট্রিক করাত দিয়ে হাত পা কেটে তারপরে জলে দেওয়াতে সেই ছবি ভাইরাল হয়। তাতেই বিজেপির পক্ষ থেকে কৃষ্ণনগর কোতয়ালী থানায় অভিযোগও করা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই বিষয়ে কৃষ্ণনগর পুরপ্রধান রিতা দাস বলেন, 'আমিও হিন্দু, আমার বাড়িতে সব পুজো হয়। গত দুই বছর ধরে নিয়ম করে প্রতিমা পুরসভার শ্রমিক দিয়ে ভাসান করানো হয়,কাঠামো জল থেকে তুলেও নেওয়া হয়। তবে গতকাল একটি পুজোকমিটির প্রতিমা,সেই পুজো কমিটির কথায় শ্রমিকরা কেটে কেটে প্রতিমা কে নামিয়ে জলে দিয়েছে। সেই সময় পুরসভারকেও ছিল না। এটা নিয়ে একটা দল রাজনীতি করছে। প্রয়োজনে আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'


প্রসঙ্গত, দুবরাজপুরের শ্মশান কালীকে শেকল ও দড়ি বেঁধে বেদি থেকে নামিয়ে বিসর্জন করতে নিয়ে যান দাস পরিবারের সদস্যরা। প্রথা মেনে দুর্গাপুজোর দশমীর পর একাদশীর দিন দুবরাজপুরের শতাব্দী প্রাচীন মা শ্মশান কালীর বিসর্জন হল। প্রতিবছর শ্মশানকালীর বিসর্জন দেখতে দুবরাজপুর শহর ছাড়াও আশেপাশের গ্ৰাম থেকে হাজারে হাজারে মানুষের ভিড় করেন। কথিত আছে শতাব্দী প্রাচীন ধরেই দাস পাড়ার মানুষই এই বিসর্জন করে আসছেন। একসময় ঝাঁটা দেখিয়ে, গালিগালাজ করে মন্দির থেকে মা কে বের করা হত। কিন্তু বর্তমানে সভ্যসমাজে এই রীতি উঠে গেছে। তবে এখনো মা কে শেকল ও দড়ি বেঁধে মাকে বেদি থেকে নামানো হয় এবং বিসর্জন করা হয়।   


আরও পড়ুন:Alipurduar: সন্ধেয় পুজো দেখতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বন্ধু, সকালে হাসপাতালে মিলল যুবকের নিথর দেহ


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)