নিজস্ব প্রতিবেদন: বিপদ কেটে গেলেও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় তার ছাপ রেখে গেল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। টানা বৃষ্টি ও ঝড়ের প্রভাবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। বর্ধমান, হুগলি, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় ধান ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রামলালার পুজোর ফুল, সাধুদের খড়ম আসে মুসলিম বাড়ি থেকেই, অযোধ্যার অলি-গলিতে লুকিয়ে অন্য গল্প


দমকা হাওয়ায় অধিকাংশ জায়গায় ধান মাটিতে পড়ে গিয়েছে। জমিতে জমে রয়েছে অনেকটাই জল। সেই জল না নামলে ফসল পচে যাওয়ার সম্ভাবনা ষোলআনা। ধানে শষ্য অনেকটাই পুষ্ট হয়েছে। চাষিদের সব খরচ শেষ। এমতাবস্থায় বড় ক্ষতির মুখোমুখী কমপক্ষে ৯ জেলার চাষিরা।



বুলবুলের প্রভাবে চাষের জমিতে অনেকটাই জল জমে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। মাথায় হাত ধান ও পেঁয়াজ চাষিদের। ইতিমধ্যেই বহু জমিতে ধান তুলে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। গতকালের প্রবল বৃষ্টিতে সেইসব জমিতে অনেকটাই জল জমে গিয়েছে। জমি থেকে সেই জল বের করা প্রায় অসম্ভব। ফলে জমিতেই পচে যেতে পারে পেঁয়াজের চারা।



ঝড়-জলে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝড়খালি, রায়দিঘির-সহ একাধিক এলাকায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য সরকার সূত্রে খবর দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায় প্রায় ৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। বর্ষণে নদিয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সরষে, মুসুর, ধান ও শীতকালীন সবজির। পুজোয় এতদফা জলে ডুবেছিল কল্যাণী-সহ বিভিন্ন এলাকা। এবার ফের একই ঘটনা।


আরও পড়ুন-বুলবুল থেকে বাঁচাতে দুর্গতকে আশ্রয় দিল কলকাতা বন্দরের সাগর পাইলট স্টেশন


বুলবুলে কোপ ধান, পান, সবজির প্রবল ক্ষতি হয়েছে, নয়াচর, নন্দীগ্রাম, খেজুরি, রামনগরে। ক্ষতি হয়েছে কয়েক হাজার হেক্টর ধানজমির। ওই ক্ষতির একটি হিসেব নেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন। তা পাঠানো হবে নবান্নে।


উল্লেখ্য, শনিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জন্য বাতিল হয়েছে বহু ট্রেন। পাশাপাশি ট্রেন লাইনে গাছ পড়ে ট্রেন চলাচল খানিকটা ব্যাহত হলেও, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিষেবা। উল্লেখ্য,  গতকাল বুলবুলের কারণে বাতিল করা হয় বহু বিমানও, সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয় কলকাতা বিমানবন্দর।