জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আগামী ১১ মে থেকে 'মোকা'র জেরে বৃষ্টি হবে তেমনই শোনা যাচ্ছে। পরে উত্তর-পশ্চিমে বেঁকে যাবে। ১২ মে এটি শক্তির চূড়ান্তে পৌঁছবে। মোটামুটি ১৪ মে নাগাদ এর ল্যান্ডফল। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বলা হচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় 'মোকা'য় রূপান্তরিত হয়ে ক্রমে এগিয়ে আসতে পারে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা উপকূলের দিকে। যার প্রভাব পড়তে পারে বিহার, ঝাড়খণ্ডের উপরেও। যা বুধবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে ক্রমশ অগ্রসর হতে শুরু করবে বলে ধারণা আবহাওয়াবিদদের। আবহাওয়া দফতর এ-ও জানিয়েছে, জন্ম নেওয়ার পর 'মোকা' উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে শুরু করবে।

 


 

১২ মে পর্যন্ত 'মোকা' সেদিকে অগ্রসর হয়ে তারপর আচমকা মুখ ঘোরাতে পারে। মুখ ঘুরিয়ে উল্টোদিকে যেতে শুরু করতে পারে। তারপর গিয়ে আছড়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের ওপর। 'মোকা' যদি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে চলে যায় তাহলে তার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশায় বিশেষ পড়ছে না। ফলে সেদিক থেকে রেহাই। 'মোকা'র প্রভাবে গরমে পুড়তে হবে দক্ষিণবঙ্গের মানুষকে। এখনই তীব্র গরম টের পাচ্ছেন সকলে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই গরম বহাল থাকবে। কারণ 'মোকা'র জেরে দক্ষিণ দিকে থেকে কোনও বাতাস প্রবেশ করছে না পশ্চিমবঙ্গে। বরং পশ্চিমের গরম শুকনো বাতাস হুহু করে ঢুকছে। তার জেরে পশ্চিমের জেলাগুলি ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়ে আরও চড়তে পারে। কলকাতা বা তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি যে রেহাই পাবে এমনটাও নয়। এখানেও ৪০ ডিগ্রির কাছে গরমে পুড়তে হবে মানুষকে।

 


 

এ তো গেল আবহাওয়াবিদদের কথাবার্তা। স্বাভাবিক ঝড়-সংবাদ। কিন্তু এটা কি জানেন, 'মোকা' আদতে উঠে এসেছে কফির পেয়ালা থেকে? একটু হেঁয়ালি মনে হচ্ছে? তা হলে আসুন, 'মোকা' শব্দের অর্থ নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করি। 

 

এই ঝড়ের নাম 'মোকা' দিয়েছে ইয়েমেন। এটি আদতে একটি বন্দর-শহর। পোর্ট সিটি। এই বন্দর-শহরটি লোহিত সাগরতীরবর্তী। বলা হয়, এই রেড সি'র এই বন্দর-শহরটিই প্রায় ৫০০ বছর আগে পৃথিবীকে প্রথম কফির সঙ্গে পরিচিত করিয়েছিল!

 

তাই, একটু হেঁয়ালি করে আমরা বোধ হয় বলতেই পারি যে, কফির পেয়ালা থেকেই উঠে এসেছে আজকের দুর্ধর্ষ ঘূর্ণিঝড় 'মোকা'