নিজস্ব প্রতিবেদন: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বুধবার সকাল থেকে দুপুরের মাঝে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas)। তবে তার আগে থেকেই উত্তাল সমুদ্র। ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কচুবেড়িয়ার মুড়ি গঙ্গার বাঁধে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। ফলে কপিলমুনির আশ্রমের কাছে সমুদ্রের জল বাড়ছে। পাথরপ্রতিমার জি প্লটে ভেঙেছে বাঁধ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: YAAS Updates: ঝড়ের ভয়াবহ দাপটের আশঙ্কা পূর্ব মেদিনীপুরে, জারি রেড অ্যালার্ট


জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগর, জি প্লট, রায়দিঘি-সহ বিস্তৃর্ণ এলাকায় ফুসছে সমুদ্র। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কচুবেড়িয়ার মুড়ি গঙ্গা নদীতে জল বেড়েছে। বাঁধের ফাটল এবং ভেঙে পড়া অংশ দিয়ে ক্রমাগত এলাকায় জল ঢুকছে। জল বেড়েছে গঙ্গাসাগরেও। কপিল মুনির আশ্রমে সামনেও জল বাড়ছে। খোড়ামারা দ্বীপেও বাঁধ ভেঙেছে। এই বাঁধ ভাঙার ফলে স্থানীয় মানুষের মনে তৈরি হয়েছে প্রবল আতঙ্ক। আমফানের স্মৃতি এখনও দগদগে তাঁদের মনে। ফলে ইয়াস আসার আগেই প্রবল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। বাঁধ মেরামরির কাজ খতিয়ে দেখছেন তিনি।


আরও পড়ুন:  এখনও এসে পৌঁছয়নি Yaas কিন্তু এর মধ্যেই বাঁধ ভেঙে গ্রামে এসে পৌঁছল জল


একই ছবি পাথরপ্রতিমার জি প্লটের গোবধনপুরে। সেখানেও বাঁধ ভেঙে সমুদ্রের জলে ভেসেছে এলাকা। প্রশাসনের তরফে স্থানীয়দের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মনে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া সত্ত্বেও কেন প্রশাসনের তরফে বাঁধ মেরামতি করা হয় না, প্রশ্ন তাঁদের। যদিও এই বিষয়ে মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা জানান, সবেমাত্র ভোট শেষ হয়েছে। তার উপর করোনার প্রকোপ চলছে। তাই বাঁধ মেরামতি করা যায়নি। তবে ৩০টা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে।