North Bengal Flood: ভয়াবহ! আশঙ্কা ছিলই, ভেঙে গেল তিস্তার বাঁধ, জল ঢুকছে হুহু করে...
North Bengal Flood: আশঙ্কা ছিলই। অবশেষে তিস্তার গাইড বাঁধ ভেঙে গেল। হুহু করে তিস্তার জল ঢুকতে শুরু করেছে গজলডোবা ঝিল এবং ভোরের আলোর বাঁধের দিকে। এমনিতেই প্রবল জলের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত ছিল তিস্তার নদীর এই গাইড বাঁধ। আশঙ্কাই সত্যি হল। স্বাভাবিকের থেকে ২০-২৫ ফুট উপর দিয়ে বইতে পারে তিস্তার জল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আশঙ্কা ছিলই। অবশেষে তিস্তার গাইড বাঁধ ভেঙে গেল। হুহু করে তিস্তার জল ঢুকতে শুরু করছে গজলডোবার ঝিল এবং ভোরের আলোর বাঁধের দিকে। এমনিতেই প্রবল জলের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত ছিল তিস্তার নদীর এই গাইড বাঁধ। প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সেচ দফতরের আধিকারিক, বিডিও এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা।
আরও পড়ুন: Howrah: সাবধান! ডিভিসি'র ছাড়া জলে বন্যা এবার কলকাতার কাছেই! প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা...
সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণেই তিস্তা নদীর জল মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। আর সেই জলের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের একাংশ। যেভাবে এই বাঁধটি ভেঙে চলেছে, তাতে যে কোনও সময় বাঁধের ১০০ মিটারের মতো অংশ সম্পূর্ণ ভেঙে যেতে পারে বলে ভয় ছিলই। বলা হচ্ছিল, তিস্তা নদীর জল সোজাসুজি ধাক্কা তখন মারবে গজলডোবার ভোরের আলোর বাঁধে। তাই তড়িঘড়ি প্রশাসনের কর্তারা বাঁধ পরিদর্শন করেছেন। তবে, সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।
ইতিমধ্যে তিস্তায় জারি লাল সতর্কতা। বুধবার সকাল ১০টায় তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছিল সেচ দফতর। সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তিস্তার দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। এদিন সকাল ১০টায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে ৮২৫২.৪০ কিউসেক। জলস্তর আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তিস্তার পাড়-সংলগ্ন এলাকায় মাইকিং করে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। স্থানীয় মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে দিচ্ছে পুলিস। স্বাভাবিকের থেকে ২০-২৫ ফুট উপর দিয়ে বইতে পারে তিস্তার জল।
আরও পড়ুন: South 24 Parganas: উত্তাল সমুদ্র! ভেঙে পড়ছে বাঁধ; ডুবে যাবে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রম?
রাজগঞ্জের বিডিও পঙ্কজ কোনার জানিয়েছেন, স্বাভাবিক হয়নি তিস্তার জল। যখন-তখন বাড়তে পারে জল। আমরা নজর রেখে চলছি। তিস্তার গাইড বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেদিকেও নজর রয়েছে।