Howrah: সাবধান! ডিভিসি'র ছাড়া জলে বন্যা এবার কলকাতার কাছেই! প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা...

West Bengal Flood: উদয়নারায়ণপুরে জলপ্লাবিত ১৪টি গ্রাম। ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। প্রায় হাজারখানেক মানুষকে ইতিমধ্যেই সেই ত্রাণশিবিরে রাখা ও তাঁদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুদের জন্যও খাবারের ব্যবস্থা করা গিয়েছে।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ক্রমাগত বৃষ্টি এবং ডিভিসি'র ছাড়া জলে দামোদর নদ জলপ্লাবিত করল উদয়নারায়ণপুরের ১৪টি গ্রাম। ইতিমধ্যেই ওই ১৪টি গ্রামের বেশ কিছু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। বিধায়ক সমীর পাঁজা জানান, আগে বন্যাপরিস্থিতি যেমন বিপজ্জনক হত, এবারে তেমন হয়নি।

Add Zee News as a Preferred Source

বিধায়ক সমীর পাঁজা ব্যাখ্যা করে বলেন, এই জল ছাড়ার ফলে এবারে বন্যার আকস্মিক ভয়াবহতা অনেকাংশেই কম। এটা অত বিপজ্জনক নয়। কেননা মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় লোয়ার দামোদর নদীতে কাজ হয়েছে। ফলে, অনেকটাই রেহাই পেয়েছে উদয়নারায়ণপুর। এবার যেটা হয়েছে সেটা হল, নদী ওভার-ফ্লো হয়ে জল ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রশাসনিক স্তরে সমস্ত রকম ভাবেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হচ্ছে। ১৭টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। প্রায় হাজার খানেক মানুষকে ইতিমধ্যেই সেই ত্রাণশিবিরে রাখা ও তাঁদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের জন্যও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে ভয়ংকর পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গে। তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করল সেচ দফতর। পুরুলিয়ায় টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন প্রান্তে ছোটবড় নদী ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাধিক এলাকা! দুর্যোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়েও!

তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করলো সেচ দফতর। বুধবার সকাল ১০ টায় জারি হল এই  সতর্কতা। সকাল ১০ টায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে ৮২৫২.৪০ কিউসেক। পুরুলিয়ায় টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন প্রান্তের ছোটবড় নদী ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় সেতুর উপর দিয়ে বইছে জল। একই ছবি পশ্চিম মেদিনীপুরে। সেখানে দু'দিনের প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাধিক এলাকা! ডেবরা ব্লকের বেনিয়া, আলিশাহাগড়, ভোগপুর, বাড়াগড়-সহ একাধিক এলাকা জলে ডুবছে। নিম্নচাপের টানা বৃষ্টির জেরে জল জমেছে, বাঁধ ভেঙেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। জেলা জুড়ে দুর্যোগ অব্যাহত। জলমগ্ন ডায়মন্ড হারবার পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড। সুন্দরবন উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি। বুধবার সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। নদী ও সমুদ্র-উপকূলে বইছে ঝোড়ো হাওয়া।