নিজস্ব প্রতিবেদন : সকাল থেকে চলছিল দড়ি টানাটানি। একদিকে প্রশাসন, অন্যদিকে গ্রামবাসীরা। প্রবল দড়ি টানাটানি, টানাপোড়েনের পর অবশেষে খুলল ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ স্কুল খোলার কথা থাকলেও, সকাল থেকেই নিজেদের দাবিতে অনড় ছিলেন গ্রামবাসীরা। প্রধান শিক্ষক ও সহ প্রধান শিক্ষকের গ্রেফতারের দাবিতে স্কুল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। একইসঙ্গে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ধৃত ৮ গ্রামবাসীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি, দুই ছাত্রের খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতেও অনড় থাকেন তাঁরা।


আরও পড়ুন, তলায় ঝুলছে গার্ড, তাঁকে নিয়েই ছুটল ট্রেন! দেখুন হাড়হিম করা সেই ভিডিও


এদিন সকাল থেকে স্কুলের সামনে অবস্থান শুরু করেন নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা। উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরে। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী এদিনও স্কুলের ভিতর ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই স্কুলে চলে আসেন স্কুল পরিদর্শক ও ইসলামপুর মহকুমাশাসক। দফায় দফায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের আলোচনায় বসেন তাঁরা। কিন্ত তারপরেও পরিস্থিতির কোনও বদল ঘটেনি। মৃত দুই ছাত্রের পরিবারের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, জেলাশাসক ছাড়া কারোও হাতে স্কুলের চাবি তুলে দেবেন না।


এই টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে আজও অনেক পড়ুয়া স্কুলে এসেও ঢুকতে না পেরে ফিরে যায়। শেষ পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের সব দাবি-ই মানা হবে বলে আশ্বাস দেন মহকুমাশাসক। মহকুমাশাসকের আশ্বাস পাওয়ার পরই স্কুল খোলার ক্ষেত্রে রাজি হন আন্দোলনকারী গ্রামবাসীরা।


প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২১ সেপ্টেম্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল। পড়ুয়া-পুলিস সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় স্কুল চত্বর। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাজেশ সরকার নামে এক প্রাক্তন ছাত্রের। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাপস বর্মণ নামে আরও এক প্রাক্তনীর। এই ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। নিহত ছাত্রদের পরিবারের দাবি, পুলিসের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে তাদের ছেলের। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উত্তর দিনাজপুর পুলিস সুপার।


আরও পড়ুন, ট্রাকের নীচে 'দাগ'! বালি খুঁড়তেই যা বেরিয়ে এল, চমকে উঠল গ্রামবাসী


পুলিসের গুলিতে ছাত্রদের মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুখ্যমন্ত্রী ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে পাল্টা দাবি করেন বিরোধীরা। দাড়িভিট হাইস্কুলকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী তরজায় শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। এদিকে, সেদিনের ছাত্র-পুলিস সংঘর্ষের পর থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় দাড়িভিট হাইস্কুল। এই সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার কর্তৃপক্ষ স্কুল খোলার পদক্ষেপ নিলেও, সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।