ওয়েব ডেস্ক: আইনশৃঙ্খলা সচল রাখতে পাহাড়ে পথে নামলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সকাল থেকেই হেঁটে বেরালেন দার্জিলিংয়ের গলি থেকে রাজপথ। সাধারণের সঙ্গে কথা, পর্যটকদের আশ্বাস থেকে ঝটিতি সিদ্ধান্ত। মিলেমিশে এক হয়ে গেল প্রশাসন ও জনসংযোগ।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তাঁকে শেষ কবে সোয়েটার পরতে দেখা গেছে? মনে করতে পারলেন না কেউই। যেমন মনে করা গেল না, শেষ কবে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে পাহাড়ে ঘুরতে দেখা গেছে? সম্ভবত কোনওদিন কোনও মুখ্যমন্ত্রীই পাহাড়কে এভাবে চষে ফেলেলনি। পর্যটকরা আড়মোড়া ভাঙার আগেই দেখা গেল এই দৃশ্য। বন্‍ধ ব্যর্থ করে পাহাড় সচল রাখতে বেরিয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রিচমন্ড হিল থেকে ম্যাল হয়ে সিংমারিতে মোর্চার সদর দফতরের সামনে দিয়ে সদলবলে ঘুরলেন। রিচমন্ড হিলে প্রশাসনিক বৈঠক। পুলিসকর্মীদের চিকিত্‍সা। গুরুতর আহত ব্যক্তির দ্রুত স্থানান্তর থেকে পাহাড়ের জন্য আপত্‍কালীন প্রশাসনিক কমিটি তৈরি। সচিবদের সঙ্গে কথা বলেন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলেন। ফের বেরিয়ে পড়লেন। এবার গন্তব্য দার্জিলিং হাসপাতাল। দেখা করলেন আহত পুলিসকর্মীদের সঙ্গে। রাস্তাতেই দেখতে পেলেন আহত এক রাজস্থানি কিশোরকে। তাকেও নিয়ে গিয়ে ভর্তি করালেন হাসপাতালে। 


এবার সরাসরি আটকে থাকা পর্যটকদের কাছে। মাইকে প্রচার করলেন। ব্যক্তিগতভাবে কথাও বললেন। ফিরে এসে ফের একবার প্রশাসনিক বৈঠক। মোর্চাকে কড়া বার্তা দিলেন। বন্‍‍ধের ডাক দিয়েছেন যিনি, সেই মোর্চা সভাপতি দিনভর গুটিয়ে রইলেন সিংমারির দলীয় দফতরে। আর বন্‍ধ ব্যর্থ করতে পাহাড় চষে ফেললেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তাঁর স্বতস্ফূর্ততায় মিলে মিশে এক হয়ে গেল প্রশাসন পরিচালনা ও জনসংযোগ। এতদিন কলকাতার সিদ্ধান্তে পাহাড়ের প্রশাসন চলত। মমতা দেখালেন পাহাড় থেকেও রাজ্যের প্রশাসন চালানো যেতে পারে।