নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্পত্তি হাতাতে শ্বশুর-শাশুড়িকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল পূত্রবধূর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে তুলকালাম মালদার ইংরেজবাজার থানার দেশবন্ধুনগর। মারধরের চোটে আহত হয়েছেব বছর সত্তরের সন্তোষ চৌধুরী  ও সান্ত্বনা চৌধূরী। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুত্রবধূ ও তাঁর বাপের বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গেছে, পূর্ব দেশবন্ধুপাড়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী সন্তোষ চৌধুরী। স্ত্রী ও এক ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে সংসার। ৭ বছর আগে পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকার বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে ছেলের বিয়ে দেন সন্তোষ চৌধুরী। প্রথম প্রথম সবকিছু ঠিক-ই ছিল। সমস্যার সূত্রপাত বছর তিনেক আগে থেকে।


আরও পড়ুন, 'সিরিয়ালে অভিনয় করতে চাই', চিঠি লিখে ঘর থেকে উধাও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র


আক্রান্ত শাশুড়ি সান্ত্বনা চৌধূরীর অভিযোগ, বিগত ৩ বছর ধরে বাড়ি ও জমি নিজের নামে করে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল পুত্রবধূ। তাকে মদত দিচ্ছিল পুত্রবধূর মা ও ভাই। এমনকি তাঁদের ছেলের সঙ্গেও বউমার কোনও বনিবনা ছিল না। প্রতিদিনই সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মাঝরাত করে বাড়ি ফিরত যুবতী। বৃহস্পতিবারও সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বাপের বাড়ি চলে যায়  ওই তরুণী।


অভিযোগ, এরপরই বাপের বাড়ির কিছু লোক ও গুন্ডা নিয়ে বাড়ি ফেরে সে। শুরু হয় হুমকি। বাড়ি, সম্পত্তি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে ওই তরুণী। সন্তোষ চৌধুরী মানতে না চাইলে শুরু হয় মারধর। এমনকি বাবাকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হন সন্তোষ চৌধুরীর মেয়েও।


আরও পড়ুন, লোকসভা নির্বাচন সেমিফাইনাল, লড়াই হবে সমানে-সমানে: দিলীপ


মারধরের চোটে গুরুতর আহত হন সন্তোষ চৌধুরী। তাঁর বুকে ও চোখে আঘাত লাগে। সান্ত্বনা দেবীর অভিযোগ, মারের চোটে তাঁর ও তাঁর মেয়ের শাড়ি ছিড়ে যায়। প্রায় 'নগ্ন' করে মারা হয় তাঁদের। এরপরই বাড়িজুড়়ে তাণ্ডব চালায় গুন্ডাদল। গোটা বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। তারপর টাকা, গয়না নিয়ে চম্পট দেয় সবাই।


এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ইংরেজবাজার থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডু।