Aadhaar Deactivation: আধার সচল হওয়ার কথা ২৪ ঘণ্টায়, রেশন তুলতে টিপ ছাপ দিতেই ভাঙল ভুল
Aadhaar Deactivation: কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি জানিয়ে দেন বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা হয়েছে। কারও কোনও সমস্যা হবে না
অনুপ কুমার দাস: রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অকেজো হয়ে যাচ্ছে আধার। বর্ধমানের জামালপুর থেকে নদিয়া-সহ বহু জায়গার মানুষজন এনিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। এনিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন বহু মানুষ। এরকম এক পরিস্থিতিতে খানিকটা হলেও বিপাকে রাজ্য বিজেপি। গতকালই এনিয়ে ময়দানে নেমেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবারই তাঁরা বলেন, কারও আধার বাতিল হবে না। যাদের বিকল হয়েছে তাদের আধার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সচল হয়ে যাবে। কিন্তু একেবারে উল্টো ছবি নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে।
আরও পড়ুন-কারও আধার বাতিল হবে না, ২৪ ঘণ্টায় বাতিল কার্ড সক্রিয় হবে, আশ্বাস সুকান্ত-শুভেন্দুর
মঙ্গলবার কৃষ্ণগঞ্জের টুঙ্গীতে রেশন তুলে গিয়েছিলেন সুমন অধিকারী। তাঁর আধার ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে গিয়েছিল। বিজেপির তরফে আধার অ্যাক্টিভেট হয়ে যাওয়ার আশ্বাসে তিনি কিছুটা আশ্বস্তও হয়েছিলেন। কিন্তু রেশন তুলতে গিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা একেবারে অন্যরকম। রেশন দোকানে আঙুলের ছাপ দিতেই তাঁর আধার সাসপেন্ড দেখায়। এমনটাই দাবি সুমন অধিকরারীর।
পোস্ট অফিস থেকে আধার ডিঅ্য়াক্টিভেট হওয়ার চিঠি পেয়ে আতঙ্কে রয়েছেন নদিয়ার নাকাশিপাড়া ব্লকের বেথুয়াডহরির বিভিন্ন এলাকার কাঁঠালবেড়িয়া বহু মানুষ। যাদের আধার বাতিল হয়েছে তাদের কাছে আসা চিঠিতে লেখা হয়েছে ২০১৬ সালের আধার রেগুলেশনের ২৮এ এর অধীনে আধার নিস্কৃয় করা হয়েছে। কারণ আপনাদের ভারতে থাকার প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করা হয়নি।
বেথুয়াডহরি এলাকা বেশ কয়েকজন ওই চিঠি পেয়েছেন। এখন কী করবেন তা বুঝতে পারছেন না। এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব বলছেন কোনও চিন্তা নেই। ২০১৬ সালে বহু অবৈধ আধার হয়েছে। সেসব আধার সংশোধনের জন্যই এমন পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, এনিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি জানিয়ে দেন বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা হয়েছে। কারও কোনও সমস্যা হবে না। আধার আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সচল হয়ে যাবে।
অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীও ওই একই কথা বলেন। তাঁরা জানিয়ে দেন চিন্তার কোনও কারণ নেই। কোনও প্রযুক্তিগত কারণে এমনটা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে কেন্দ্রের কাছেও কোনও খবর নেই।