Jalpaiguri Hospital Morgue: ময়নাতদন্ত নিয়ে জটিলতা অব্যাহত জলপাইগুড়িতে, মৃতদেহ নিয়ে ৫০ কিমি ছুটতে হচ্ছে আত্মীয়দের
Jalpaiguri Hospital Morgue:কোচবিহারের হলদিবাড়ি মহকুমা থেকে আসা এক ভূক্তভোগী জানান, পুলিস বলছে বডি এখান থেকে নিয়ে যেতে হবে উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে। আমাদের কাছে টাকা পয়সাও নেই। কী করে যে কী করব সেটাই বুঝতে পারছি না।
প্রদ্যুত্ দাস: সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক এবং কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের দিনই এমন ঘটনা প্রথমে প্রকাশ্যে আসে। পরিস্থিতি সামাল দিতেহস্তক্ষেপ করেন জেলা শাসক। কিন্তু তার পরেও কাটনি জটিলতা। ফলে এখন মৃতদেহ নিয়ে ৫০ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে দৌড়তে হচ্ছে আত্মীয়দের।
আরও পড়ুন-ডন শ্রীনু খুনে বেকসুর খালাস রামবাবু, ৫ বছর পর কেন রেহাই, কী বললেন বিচারক?
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে জলপাইগুড়ি পুলিস মর্গে জমা বেওয়ারিশ লাশের পাহাড়। পচন ধরা মানবদেহ কুরে কুরে খাচ্ছে ম্যাগট পোকা। দুর্গন্ধে টেকা দায় মর্গ চত্তরে। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোনও ভাবেই ময়নাতদন্তের কাজ করা সম্ভব নয় বলে সোমবারই জানিয়ে দিয়ে ছিলেন বিভাগীয় চিকিৎসক। শুরু হয়ে য়ায় সাধারণ মানুষের হয়রানি।
ওই খবর চাউর হতেই টনক নড়ে জেলা প্রশাসনের। খোদ জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা জানিয়ে ছিলেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। তার পরে মঙ্গলবারেও বদলালো না না জলপাইগুড়ি মর্গের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। ফলে জেলা তথা পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আসা ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পুলিসের পক্ষ থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৫০ কিলোমিটার দুরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। আর এতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হওয়া ব্যাক্তির আত্মীয় স্বজনদের ওপর।
কোচবিহারের হলদিবাড়ি মহকুমা থেকে আসা এক ভূক্তভোগী জানান, পুলিস বলছে বডি এখান থেকে নিয়ে যেতে হবে উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে। আমাদের কাছে টাকা পয়সাও নেই। কী করে যে কী করব সেটাই বুঝতে পারছি না। মর্গ থেকে ছড়িয়ে পড়া দুর্গন্ধে যে শুধু মাত্র চিকিৎসক-স্বাস্থ্য কর্মীরাই জেরবার নন, এলাকার ব্যাবসায়ী বিপুল দাস জানান, এই মর্গের দুর্গন্ধে এলাকায় টেকা যায় না। পেটের দায়ে এই অবস্থার মধ্যেই থেকেই ব্যবসা করতে হচ্ছে। নিকট আত্মীয়ের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করাতে আসা সাহারফ আলির মুখেও শোনা গেল একই দুর্দশার কথা। তিনি বলেন এই হাসপাতালে পোস্ট মর্টেম হবে না বলে দিল, পুলিস বলছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে যেতে হবে মৃতদেহ।
ঘটনার কথা স্বীকার করে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজের অ্যাডিশনাল সুপারিনটেনডেন্ট ডা সুরজিৎ সেন জানান, ক্যাপাসিটর ওপরে মৃতদেহ জলপাইগুড়ি মর্গে রয়েছে। শতাধিক মৃতদেহ মর্গে জমে রয়েছে। যেহেতু পুলিস মর্গ পুলিসকে জানানো হয়েছে। বাধ্য হয়ে মৃতদেহ উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হচ্ছে।