নিজস্ব প্রতিনিধি: বাড়ির সামনের রাস্তায় দেহ পড়ে রইল টানা ৫ ঘণ্টা! ফের আসামীর কাঠগড়ায় অ্যাম্বুলেন্স চালক। এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়া বিধানসভা এলাকা। নোদাখালি থানার অন্তর্গত চকমানিক গ্রামে অভিজিত রায় তাঁর বয়স্ক মায়ের সঙ্গে থাকতেন। স্থানীয় সূত্র ও পঞ্চায়েত সমিতির খবর গত রবিবার বেলা ৩টে ১০ নাগাদ বুকের যন্ত্রণা অনুভব করেন অভিজিত, তাঁর আগে থেকেই হৃদরোগ ছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিজিতের মা ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন এবং অ্যাম্বুলেন্স অভিজিতকে নিয়ে বজবজের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে  যায় এবং সেখানে চিকিংসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই অ্যাম্বুলেন্স চালক বাহানা শুরু করেন, জানান যে তাঁর অনেক ভাড়া আছে। মৃতকে নিয়ে যেতে তিনি অস্বীকার করেন। অবশেষ অভিজিতের দেহ ওই অভিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক বাড়ির কাছের রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যান। প্রায় ৫ ঘণ্টার ওপর ওভাবেই পড়ে থাকে দেহ।


আরও পড়ুন: গুলিকাণ্ডের তদন্তে শীতলকুচিতে CID-র টিম, শুরু ঘটনার পুর্ননির্মাণ


দৃশ্য দেখে আশেপাশের কেউই এগিয়ে আসেননি। এরপর খবর যায় বজবজ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুচানন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, খবর পেয়ে পঞ্চায়েত সভাপতি বেশ কয়েকজন নিয়ে পিপিই কিট পরে ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে অভিজিত রায়ের দেহ রাস্তা থেকে তুলে বজবজ কালীবাড়ি চিত্রগঞ্জে নিয়ে যান। ওদিনই রাত বারোটার সময় অভিজিতের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানিয়েছেন যে, অসাধু অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।