নিজস্ব প্রতিবেদন:  গরুমারা থেকে দু'টি কুনকি হাতি আনা হলেও শেষমেশ ট্র‍্যাঙ্কুলাইজ করা গেল না দলছুট দাঁতালকে। মানুষজনকে তাড়া করে চা-বাগানের মধ্যে দিয়ে ডামডিম বাজার হয়ে অন্যত্র চলে যায় হাতিটি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সকাল থেকেই নাজেহাল করেছে এই দলছুট হাতিটি। হাতির আক্রমণে মারা গিয়েছেন এক চা-শ্রমিক, গুরুতর আহত হয়েছেন আর এক চা শ্রমিক। 


চা বাগানে এই দলছুট হাতির আসায় টের পায়নি কেউ। হাতিটি প্রথমে মুন্টি লাইনে রামকৃষ্ণ লোহারকে (৫২) আক্রমণ করে। পরে ভেকু লাইনে আক্রমণ করে ক্রিস্টোফার ওঁরাওকে (৪৫)। এঁদের আক্রমণ করার পর হাতিটি সাইলি চা-বাগানের বেদবাড়ি ডিভিসনে একটি ঝোরার মধ্যে আশ্রয় নেয়। ততক্ষণে হাতি দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। মানুষজনকে সামলাতে হিমসিম খেতে হয় প্রশাসন এবং বন দপ্তরকে। 


রামকৃষ্ণ লোহার ও ক্রিস্টোফার ওঁরাও দু'জনেই গুরুতর আহত হন। তাঁদের মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাঁদের জলপাইগুড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই মারা যান রামকৃষ্ণ। আহত ক্রিস্টোফারকে পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।


ঘটনায় এলাকায় প্রচন্ড উত্তেজনার সৃষ্টি  হয়। ঘটনাস্থলে যান বন আধিকারিকেরা। এসে পৌঁছন মাল মহকুমা পুলিশ, আধিকারিক এবং  জওয়ানরা। জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা হাতিটিকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখা হয়। এর মধ্যেই চলে তাকে ট্র‍্যাঙ্কুলাইজ করার চেষ্টা। পরে বন দপ্তর গরুমারা থেকে দু'টি কুনকি হাতি আনানোর সিদ্ধান্ত নেয়।


সন্ধের সময়ে কুনকি হাতি আসে। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় দলছুট হাতিটি মানুষকে তাড়া করে নিজেই জঙ্গলে ফিরে যায়। কুনকি হাতি আর কোনও কাজে এল না। তবে বন দপ্তরের চিন্তা, হাতিটি আবার কারও ক্ষতি না করে। তাই বন দপ্তর, পুলিশ এবং জওয়ানেরা এলাকায় টহল দিচ্ছে।


আরও পড়ুন: ''খুন নয়, আত্মহত্যাই করেছেন সুশান্ত'', জানিয়ে দিল AIIMS