Memari: মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যু মালিকের! মরল গৃহপালিত পশুটিও...
Memari: নেপালের একচালার ঘরে ছোট্ট সংসার। রোজগার বলতে চাষাবাদ। জমিতে ফসল ফলিয়েই সংসার চলত। আজ নিজের সেই বড় সাধের চাষের জমিতেই বাজ পড়ে মৃত্যু ঘটল তাঁর। এই ঘটনায় মন ভার করে গোটা এলাকার। শুধু তাঁর স্ত্রী-পরিবার নন, নেপালের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পাড়া-প্রতিবেশী স্বজন-বন্ধু কেউই।
পার্থ চৌধুরী: মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রঘাতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম ভীম কর। তাঁর বয়স ৫১। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পাল্লা ২ নম্বর ক্যাম্প এলাকায়।
পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ হঠাৎই সেখানে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়, এর পরেই স্থানীয় সূর্যনগর মাঠ থেকে তাঁর গরু আনতে যান ভীম কর। সেই সময় হঠাৎই বজ্রপাতের বিকট আওয়াজ হয়। পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়ে দেখেন, ভীম ও তাঁর গরু মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ভীমকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: Bangaon: পটলক্ষেতে কাজ করছিলেন, বাজ পড়ে নিজের জমিতেই মৃত্যু কৃষকের...
ভীমের দাদা নিমাই কর জানান, হঠাৎই খুব জোরে আওয়াজ শোনা যায়৷ মাঠে গরু আনতে গিয়েছিল ভাই। সেখানেই বাজ পড়ে ভাই আর তার গরু একসঙ্গে মারা যায়।
একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনায়। জমিতে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক কৃষকের। আজ, রবিবার জমিতে পটল-পাট নিয়ে চাষাবাদে ব্যস্ত ছিলেন গাইঘাটা থানার বর্ণবেড়িয়া এলাকার নেপাল হালদার। কাকভোরে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী ময়নাকে নিয়ে জমিতে পটলের ফুল ছোঁয়াতে গিয়েছিলেন নেপাল। স্ত্রী ময়না খানিক বাদে জমি থেকে বাড়িতে ফিরলেও জমি থেকে নেপালের আর বাড়ি ফেরা হল না। বজ্রাঘাতে মৃত্যু ঘটল নেপালের (৩৮)। স্ত্রী ময়না তাঁদের ছোট ছোট দুই সন্তানকে আঁকড়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। এমন মৃত্যু তিনি কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না!
নেপালের স্ত্রী জানান, ভোরে তাঁরা এক সঙ্গেই জমিতে গিয়েছিলেন। পটলক্ষেতে ফুল ছোঁয়ানোর পরে তিনি চলে আসেন। নেপাল তখনও পাটজমিতে বীজ ছড়াচ্ছিলেন। ময়না বাড়ি আসার কিছুক্ষণ পরেই জমি থেকে নেপালের বন্ধুদের ফোন আসে। ফোনে তাঁরা জানান, বাজ পড়ে নেপালের মৃত্যু হয়েছে! পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, জমির ফসল ভ্যানে করে হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে দিনপনেরো আগে একটি ভ্যানও কিনেছিলেন নেপাল। এই ঘটনায় মন ভার করে গোটা এলাকার। শুধু তাঁর স্ত্রী-পরিবার নন, নেপালের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পাড়া-প্রতিবেশী স্বজন-বন্ধু কেউই।