Dibyendu Adhikari: হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে কয়লা চুরির প্রতিবাদ করতেই মিলছে প্রাণনাশের হুমকি, চাঞ্চলকর অভিযোগ দিব্যেন্দুর
গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি গভীর এক রাতে ৪০-৫০ জন দুষ্কৃতীর একটি দল হলদিয়া বন্দরের কয়লা চুরি করছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করতে গেলে কেন্দ্র বাহিনীদের উপর ও তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক পাথর ছোড়া হয়
কিরণ মান্না: গভীর রাতে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ টাকার কয়লা চুরি হয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করায় তাঁকে প্রাণনাশের হুমিক দেওয়া হচ্ছে। তাঁর গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ আনলেন তমলুকের সংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন-'এখনও তো অনেক পথ বাকি'! হাল ছাড়ছেন না বহু যুদ্ধের যোদ্ধা লক্ষ্মী
কয়লা চুরির অভিযোগ পেয়েই এনিয়ে কেন্দ্র তার নিজস্ব এজেন্সি মারফত তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছে। চুরি রুখতে রাজ্য পুলিস কিছুই করতে পারছে না বলে দাবি দিব্যেন্দুর। সাংসদ জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিস ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি। তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীদের বেষ্টনীতে থাকেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি গভীর এক রাতে ৪০-৫০ জন দুষ্কৃতীর একটি দল হলদিয়া বন্দরের কয়লা চুরি করছিল। ওই সময় নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর তা নজরে আসে। জওয়ানরা সিআইএসএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডারকে খবর দেন। কমান্ডার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের বাহিনী নিয়ে দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করতে গেলে কেন্দ্র বাহিনীদের উপর ও তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক পাথর ছোড়া হয়। পাথরের আঘাতে গুরুতর জখম হন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডার সহ বেশ কয়েকজন জওয়ান। তাদের হলদিয়া পোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ করা হয় হলদিয়া থানায়। সেই ঘটনার পর একমাস কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত পুলিস কোন কিছুই করছে না বলে দাবি দিব্যেন্দুর। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি স্কুটি ও মোটরসাইকেল ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়েছিল। সেই দুটো বাইক পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তাও পুলিসে কিছুই করতে পারছে না এমনটাই অভিযোগ সংসদের।
কয়লা জাতীয় সম্পদ, তাকে রক্ষা করার প্রয়োজন। সেই সম্পদ চুরি হওয়া এমন ঘটনা শুধু হলদিয়া নয় বাংলার কাছে লজ্জাজনক, বলছেন সাংসদ।। তাছাড়া হলদিয়া গুরুত্বপূর্ণ বন্দর এলাকা, কোস্ট গার্ড রয়েছে কোস্টগার্ডের ডিআইজি এখানে বসেন, সমুদ্রসহ হলদি নদী রয়েছে, জাহাজ যাওয়া আসা করছে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য নিয়ে। সেই জায়গায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম যথেষ্ট কপালে ভাঁজ ফেলছে। উপকূলে পুলিসের ভারত সরকারের দেওয়া এফআরবি বোট রয়েছে। সেই বোট ব্যবহার হচ্ছে না, পেট্রোলিং করছে না পুলিস। জল পথে যে কোন সময় হামলা হতে পারে। কোস্টাল সিকিউরিটি নিয়েও চিন্তিত আমরা, বললেন সাংসদ।