নিজস্ব প্রতিবেদন: মুর্শিদাবাদের দৌলতপুরে বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪২।  মঙ্গলবার সকালে আরও ৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও প‌র্যন্ত ৩৬ জনের মৃতদেহ সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে অধিকাংশ মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবারের বাস দুর্ঘটনার পর থেকে দিনভর উদ্ধারের কাজ চলে। সন্ধ্যে নাগাদ বিলের জলে দৃশ্যমানতা কমে ‌যাওয়ায় উদ্ধারের কাজ থামিয়ে দিতে হয়। আজ মঙ্গলবার ফের উদ্ধারের কাজ শুরু হবে। সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন নিখোঁজ বাস‌যাত্রীদের অনেকে। তাঁদের ধারনা বিলের পাঁকে এখনও অনেক মৃতদেহ আটকে রয়েছে। ফলে সকাল থেকেই দৌলতাবাদের বালিঘাট এলাকার গোবরা খালের পাড়ে অধীর অপেক্ষায় বহু মানুষ।


আরও পড়ুন-ক্রেন দিয়ে ভৈরবের গর্ভ থেকে তোলা হল বাস


স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান, জলের তলায় এখনও আটকে রয়েছেন অনেক ‌যাত্রী। গোবরা খাল বেশ গভীর। জলের নীচে পাঁক। ইতিমধ্যেই ফের ঘটনাস্থলে এসেছে এনভিআরএফ। হাজি আবদুল মালেক নামে এক ‌যাত্রীর ভাই এসে হাজির হয়েছে খালের ধারে। বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে দাদার মৃতদেহ পাননি। তাই এসেছে দুর্ঘটনাস্থলে। দুর্ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়েছেন বিকাশ বিশ্বাস নামে এক ‌যাত্রীর ভাই। তাঁর এক ভাই বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। আর দাদার খোঁজ এখনও মেলেনি। অন্যদিকে, নিজের জামাইবাবুর খোঁজে এসেছেন এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি খালের জলে স্রোত নেই। তাই মৃতদেহ জলে পড়ে রয়েছে। এখনও প‌র্যন্ত পাওয়া খবর অনু‌যায়ী ১০-১২ জন ‌যাত্রী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।