নিজস্ব প্রতিবেদন: ভরসন্ধ্যেয় দমদমের গোরাবাজার এলাকায় বাইক আরোহী দুই দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন ডেকরেটার্সের দোকানের কর্মী। শুক্রবারের ওই ঘটনায় এলাকায় এখন দোকান খুলতেই ভয় পাচ্ছেন অনেক দোকানদার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রেলের মুকুটে নয়া পালক, 'মেক ইন ইন্ডিয়া'য় তৈরি ট্রেন চলছে পড়শি দেশে


কেন একজন সাধারণ দোকানের কর্মী খুন হলেন তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। তদন্তে জানা যাচ্ছে কয়েকদিন আগে গণেশ কুণ্ডুর সঙ্গে কয়েকজন লোকের বচসা হয়। হামলার পেছনে তারাও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি গণেশ কুণ্ডু ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ। সেক্ষেত্রে হামলার পেছনে রাজনৈতিক কারণও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। একইসঙ্গে ডেকরেটার্সের মালিকের সঙ্গে কারও ব্যবসায়ীক গোলমালের বলি গণেশ হলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


কী হয়েছিল শুক্রবার সন্ধ্যেয়? এদিন আরবিসি রোড দোকানে একাই বসেছিলেন গণেশ। সে সময়ে দোকানের সামনে এসে থামে দুই বাইকআরোহী। তাদের মুখ মাফলারে ঢাকা ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এরপর একজন বাইক থেকে নেমে দোকানে ঢুকে যায়। গণেশের সঙ্গে তার কিছু কথা হয়। এরপর আগ্নেয়অস্ত্র বের করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গণেশকে গুলি করে সে। গুলি লাগে গণেশের মাথায়। এরপর নাগের বাজারের দিকে তারা পালিয়ে যায়। আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।


আরও পড়ুন-চালকের অনভিজ্ঞতাই কাল! চাঞ্চল্যকর তথ্য জি ২৪ ঘণ্টার অন্তর্তদন্তে


সামান্য একজন দোকানদারকে কেন খুন হতে হল! বিষয়টি ভাবাচ্ছে পুলিসকে। তদন্তে জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগে একটি অনুষ্ঠানের খাবারের বরাত নেন গণেশ। সেখানে খাবারের মান নিয়ে বচসা হয়েছিল কয়েকজন যুবকের। গণেশকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই খুনের ঘটনার সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বাচ্চু দাস নামে একজনকে খুঁজছে পুলিস।


দমদম ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মিতা চ্যাটার্জির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল গণেশের। ফলে খুনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক কারণ জড়িয়ে রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।