নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু। বর্শা আসতেই তাড়া করছে ডেঙ্গি আতঙ্ক। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার এক স্কুল শিক্ষিকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দীপিকা পাল নামে ওই স্কুল শিক্ষিকা দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। দেগঙ্গা বেলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ১৬ অগাস্ট থেকে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। প্রথমে কিছুদিন স্থানীয় চিকিত্সকের তত্ত্বাবধানে থাকেন তিনি। কিন্তু তিন দিনেও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। কমেনি জ্বর।


আরও পড়ুন, গলায় বরমাল্য, সিঁথি রাঙা সিঁদুরে, 'দেবদূত' বিষ্ণুর চোখে চোখ রেখে বিভোর মাম


পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হওয়ায় দীপিকা পালকে ভর্তি করা হয় বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু তাতেও বিপদ এড়ানো যায়নি। হু হু করে পড়তে থাকে প্লেটলেট। ৪০ হাজারের নীচে নেমে যায় প্লেটলেট। শেষপর্যন্ত সোমবার বিকেলে মৃত্যু হয় দীপিকা পালের।


এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেগঙ্গাবাসীর মনে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। প্রায় ৮ হাজারের কাছাকাছি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। শুধু এই উত্তর ২৪ পরগনাতেই কমপক্ষে ১৫ থেকে ১৭ জনের মৃত্যু হয় ডেঙ্গিতে। তার মধ্যে বিশেষ করে এই দেগঙ্গাতেই ডেঙ্গির প্রকোপ ছিল সবচেয়ে বেশি। তাই এবার বর্ষা শুরু হতেই ডেঙ্গির 'ভূত' তাড়া করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে।


আরও পড়ুন, "মেয়ের গলায় নাম ধরে ডাকে, জড়িয়ে ধরে", হস্টেল বাড়ি জুড়ে অশরীরী আতঙ্ক


উল্লেখ্য, বাদুড়িয়াতেও আজানা জ্বরে মৃত্যুর খবর মিলেছে। গত সোমবার পুরুলিয়াকেও ডেঙ্গিতে একজনের মৃত্যু হয়। রবি অধিকারী নামে ৩৯ বছরের ওই ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। ভর্তি ছিলেন পুরুলিয়া শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।


আরও পড়ুন, দিলীপ-মমতাকে মেলাবেন অটল? স্মরণসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে বিজেপি


প্রসঙ্গত, এডিস ইজিপ্টাই মশা ডেঙ্গির জীবাণুর ধারক ও বাহক। জমা জলেই এই মশা বংশবিস্তার করে। তাই ডেঙ্গিকে রুখতে সবার প্রথমে যেটা করা উচিত, তা হল বাড়ির চারপাশে কোথাও যেন কোনও জমা জল না থাকে। নর্দমা পরিষ্কার করা। ভাঙা টবে জল জমতে না দেওয়া। প্রতিদিন ফুলদানির জল ফেলে দেওয়া। অতি অবশ্যই রাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো। প্রাথমিকভাবে এই সতর্কতাগুলি প্রত্যেকের পালন করা উচিত।