নিজস্ব প্রতিবেদন:   ‘‘দেশে সুপার এমার্জেন্সি চলছে।’’ শিলচর বিমানবন্দরে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্যদের পুলিসি 'হেনস্থা'র ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে বললেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন,  ‘‘দেশে সুপার এমার্জেন্সি চলছে। রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে নোটিসও দিই। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দেননি। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি।’’


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: শিলচর বিমানবন্দরে নামতেই তৃণমূল প্রতিনিধিদের বাধা পুলিসের, উঠল মারধরের অভিযোগ


তিনি আরও বলেন, ‘‘বিনা কারণে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মারধর করা হয়েছে। কোনও নোটিস ছাড়াও তাঁদের পথ আটকানো হয়েছে। এমনকি মহিলা সাংসদরাও বাদ যাননি। পুলিসের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মমতা বালা ঠাকুর। ’’


 



ডেরেকের বিস্ফোরক অভিযোগ, ‘‘আমাদের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের বুকে পেসমেকার রয়েছে। পুলিস তাঁর বুকে মেরেছে।’’


আরও পড়ুন: প্ল্যাটফর্মের সিটে বসে তরুণী, রক্তে ভেসে যাচ্ছে এলাকা, পাশে লেখা একটি ‘শব্দ’…


প্রসঙ্গত,  নাগরিকপঞ্জির খসড়া নিয়ে জটিলতা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতেই বৃহস্পতিবার অসম যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। সেখানে একটি কনভেনশনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল দলের সদস্যদের। দলে রয়েছেন ৬ সাংসদ, ১ মন্ত্রী ও ১ বিধায়ক। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম। শিলচরে একটি ছোট সভা করারও কথা ছিল তাঁদের। 


শিলচরে বিমানবন্দরে পা রাখতেই তৃণমূল প্রতিনিধিদের আটকে দেয় অসম পুলিস। জানা যাচ্ছে, এরপরই পুলিসের সঙ্গে বাদানুবাদ জড়িয়ে পড়েন  তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। দুপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিস তৃণমূল সাংসদদের মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এই মুহূর্তে বিমানবন্দের বসেই অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন  অসমের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসা তৃণমূলের ৮ প্রতিনিধি।