হার নিশ্চিত জেনে বিজেপি ভয় পেয়েছে, অমিতকে পালটা ডেরেকের
এদিন ডেরেক বলেন, `ওরা ভয় পেয়েছে। নার্ভাস হয়ে পড়েছে। ওরা জানে ওদের সময় শেষ হয়ে গেছে। তাই ওরা রাজনৈতিক ভাবে ভীত। ওদের বক্তৃতা নিম্নরুচির।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মালদায় অমিত শাহের বক্তব্য শেষ হতেই ফের একবার বিজেপিকে তোপ দাগলেন তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েন। মঙ্গলবার তিনি বলেন, আসলে ভয় পেয়েছে বিজেপি।
এদিন ডেরেক বলেন, 'ওরা ভয় পেয়েছে। নার্ভাস হয়ে পড়েছে। ওরা জানে ওদের সময় শেষ হয়ে গেছে। তাই ওরা রাজনৈতিক ভাবে ভীত। ওদের বক্তৃতা নিম্নরুচির। ওদের বক্তৃতা সব সময় ভুল তথ্যে ভরা। বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি বোঝে না। ভারতের সংস্কৃতি তো কখনো বোঝেই না। কেউ বলছে ওরা মরিয়া। কেউ বলছে ওরা পাগল।'
মঙ্গলবার মালদায় আনুষ্ঠানিকভাবে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সেখান থেকে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সুদিন ফেরাতে তৃণমূলকে ছুঁড়ে ফেলুন। আপন করে নিন পদ্মফুলকে।
এদিন রাজ্যের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে তৃণমূল সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন অমিত। বলেন, তৃণমূল সরকারের অত্যাচার বামেদের নজিরকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, মোদীর জনপ্রিয়তা রুখতে এরাজ্যের সরকার কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে রাজ্যবাসীকে বঞ্চিত করছে বলেও অভিযোগ করছেন তিনি।
অমিত শাহ বলেন, ২০১৯-এ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো করে ভোট করাতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনে প্রতিটি বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের লোক। থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ফলে প্রতিটি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।
গত ১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেডের সভাকেও কটাক্ষ করেন অমিত শাহ। বলেন, বাতিল নেতাদের ওই সভায় অন্তত ৭ জন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন। ওদের কাছে নেতা নেই। আমাদের কাছে বলিষ্ঠ নেতা রয়েছেন। তার নাম নরেন্দ্র মোদী। তাই 'মজবুর' (বাধ্যবাধকতার) সরকার নয়, মজবুত সরকার গড়তে বাংলায় বিজেপিকে অন্তত ২৩টি আসন দিন।