রাজ্যে মোমোর প্রথম `শিকার` কি গোয়ালতোড়ের ছাত্র? জোরালো সন্দেহ
মোমো মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমেছে সিআইডি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যজুড়ে থাবা বসিয়েছে মোমো আতঙ্ক। লীন তিমির পর ভৌতিক মুখ ঘুম কেড়েছে আট থেকে আশির। পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে ছাত্রের মৃত্যু ঘিরেও ঘনীভূত হয়েছে মোমো আতঙ্ক। মারণ গেম মোমো খেলেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলেনি পুলিস। কিন্তু সন্দেহ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন, তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন ঝাড়গ্রামে, হিংসা অব্যাহত বীরভূম-নদিয়ায়
মৃত ছাত্রের নাম দেবদাস মণ্ডল। গোয়ালতোড় থানার নিমডাঙা গ্রামে বাড়ি দেবদাসের। দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত ছিল দেবদাস। পুলিস জানিয়েছে, বাড়ির মধ্যেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় দেবদাস মণ্ডলের দেহ। দেবদাসের দেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি মোবাইল ফোনও। যার ফলেই দানা বেঁধেছে সন্দেহ। দেবদাসের আত্মহত্যার সঙ্গে মারণ গেম মোমোর কোনও যোগসাজশ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, কলকাতার নাকের ডগায় হাজির মোমো, মেসেজে লেখা একটাই কথা
যদিও, এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিস। মুখ খুলতে রাজি হয়নি। উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ির এক কলেজ ছাত্রীকে প্রথম মেসেজ পাঠায় মোমো। এরপর জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, বর্ধমান, মালদা- বিভিন্ন জায়গা থেকে মোমোর মেসেজ পাওয়ার খবর মেলে। উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে এক তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীকেও মেসেজ পাঠায় মোমো।
আরও পড়ুন, ডিলিট করলেও মোবাইলে ফিরে আসছে ‘মোমো’, কালিয়াগঞ্জে আতঙ্কে কিশোরের পরিবার
এহেন পরিস্থিতিতে মোমো মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমেছে সিআইডি-ও। এধরনের লিঙ্ক এলে কখনই ক্লিক করবেন না। এমনই পরামর্শ দিচ্ছে সিআইডি। একই সঙ্গে তাদের আর্জি, মোমো গেমের লিঙ্ক এলেই যেন তাদের জানানো হয়। বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে প্রচারও চালানো হবে। বিশেষভাবে অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করাই উদ্দেশ্য সিআইডি-র। উত্তরবঙ্গ থেকে মোমো গেমের অধিকাংশ অভিযোগ আসছে। তাই উত্তরবঙ্গের থানাগুলিকে তদন্তে সহযোগিতা করবে সিআইডি।