নিজস্ব প্রতিবেদন:  “গণতন্ত্রের জয় হয়েছে, আইনি ব্যবস্থার জয় হয়েছে।” রথযাত্রা নিয়ে শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে প্রতিক্রিয়া বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জয়প্রকাশবাবু বলেন, “আদালত আজ যা রায় দিল, তাতে গণতন্ত্রের জয় হল। মিটিং, মিছিল করা যে কোনও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। তা হরণ করা যায় না।  আজকের নির্দেশে আইনি ব্যবস্থার জয় হয়েছে। প্রশাসনকেও যে আইন মেনে চলতে হয়, তা প্রমাণ হল।”


বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা আগেই বসতে চেয়েছিলাম রাজ্যের সঙ্গে। কিন্তু ওরা রাজি হয়নি। এখন আদালতের নির্দেশে ঠেকায় পড়ে বৈঠকে বসতে হচ্ছে। বৈঠক হবে, রথযাত্রাও হবে। আমরা আইন মেনেই চলব।” অমিত শাহ শনিবারের সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অমিত শাহ আসছেন কিনা, এখনও পর্যন্ত তা ঠিক করে বলা যাচ্ছে না।”


আরও পড়ুন: আপাতত অনুমোদন নয়, বিজেপির সঙ্গে আলোচনা করে রথযাত্রার সিদ্ধান্তের ভার রাজ্যকেই


বিজেপির আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র বলেন, “ডিভিশন বেঞ্চ এদিন সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে খারিজ করে দিয়েছে।  রাজ্যকে বৈঠকে বসে রথযাত্রার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিজেপিনেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র প্রতিক্রিয়া, “হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় রাজ্যের গালে সজোরে থাপ্পড়”। অন্যদিকে, বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, "আদালতে মুখ পুড়েছে রাজ্যের।''


প্রসঙ্গত, শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, অলোচনার মাধ্যমেই বিজেপির রথযাত্রার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।  এ প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও মুখ্যসচিব, ডিজিকে বিজেপির সঙ্গে বৈঠকে বসার নির্দেশ দেয় আদালত।  ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈঠকে বিজেপির তিন প্রতিনিধির সঙ্গে রাজ্যের আধিকারিকদের ঐকমত্যের প্রেক্ষিতেই রথযাত্রার ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে। রাজ্যকে আরও নির্দেশ, বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা ১৪ ডিসেম্বর অর্থাত্ আগামী শুক্রবারের মধ্যে বিজেপি নেতৃত্ব তথা আদালতকে জানাতে হবে। এখনই অনুমোদন না পেলেও, এদিন বিজেপির দাবির একটা দিক মান্যতা পেল আদালতে। কিছুটা হলেও স্বস্তি পায় বিজেপি।  অর্থাত্ এদিন বিজেপির রথযাত্রা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্বভার রাজ্যের কোর্টেই ঠেলে দিল আদালত।