নিজস্ব প্রতিবেদন:  দ্বিতীয় বার রাজ্য বিজেপির সভাপতি হলেন দিলীপ ঘোষ। এই পদে ফের পুনর্নির্বাচনের জন্য় মানুষের আশীর্বাদকে পাথেয় মনে করছেন দিলীপ। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে সভাপতি নির্বাচনের অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “প্রথমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর বিধায়ক, সাংসদ হয়েছি। মানুষ আমায় আশীর্বাদ করেছেন বলেই আজ এই জায়গায়।” তাঁর এই সাফল্যের দলের প্রত্যেক কর্মীকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি বলেন, কর্মীদের আত্মত্যাগেই ১৮ সাংসদ পেয়েছি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন মঞ্চে দিলীপ ঘোষ কখনও আবেগঘন, কখনও আক্রমণাত্বক, কখনও বা স্বভাবসিদ্ধ রসিক ভূমিকা পাওয়া গেল। তিনি বলেন, “ভদ্রলোকের এক কথা। ২২টা তো ২২টা। অনেকই সাহস করে এই সংখ্যা বলতে পারেনি। কিন্তু আমি বিজেপি সভাপতি। কর্মীদের উপর ভরসা ছিল বলেই বলতে পেরেছিলাম।” তিনি জানান, ১৭ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পৌঁছেছে পদ্ম শিবিরের। এর জন্য ৯২ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ২ হাজার কর্মী জেলে। ৩ হাজার কর্মী বাড়িছাড়া।


আরও পড়ুন- ফের খুন নিমতায়, মাথা থেঁতলে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়া হল যুবকের দেহ


দিলীপ ঘোষ ঠোঁট কাটা। এটা সর্বজনবিদিত। মাঝে মধ্যে এমনও কথা বলে ফেলেন খোদ দলও অস্বস্তিতে পড়ে। কিন্তু তাতে থোড়াই কেয়ার। উল্টে দিলীপ ঘোষ এ দিন বললেন, রাজ্যে যা পরিস্থিতি, মিষ্টি মিষ্টি কথা আশা করেন। সহ্যশক্তি বাড়ান। আরও কঠোর কথা শুনতে হবে। বুঝিয়ে দিলেন একুশের নির্বাচনের বিজেপি আরও শক্ত হাতে ময়দানে নামতে চলেছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিএএ বিক্ষোভকারীদের হিংসার প্রসঙ্গে দিলীপ বলেছিলেন, ওদের গুলি করে মারা উচিত। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়।



একুশের নির্বাচনে প্রতিপক্ষ একমাত্র তৃণমূল। দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি, যোগ্য জবাব দেওয়াই আমাদের গণতন্ত্র। কর্মীদের এক বুক অক্সিজেন দিয়ে তিনি বলেন, আমরা পোস্ট দিই না। ঝান্ডা দিই। পার্টির আদর্শ দেখেই কর্মীরা আসেন। এই লড়াইকে মহাভারতের যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেন দিলীপ। তিনি বলেন, সেই যুদ্ধ শেষ হবে পশ্চিমবঙ্গে এসে। এক কোটি সৈনিক লড়াই করছে। মানুষ বিকল্প পথ খুঁজে নিয়েছে। শুধু পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে।