নিজস্ব প্রতিবেদন: গত জুন মাসে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি তুলেছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। তার পর রাজ্য বিজেপি বলেছিল,দল সমর্থন করে না। এ দিন বার্লার পাশে রাখঢাক না করে দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন,'জন বার্লা একজন জনপ্রতিনিধি। যাঁরা তাঁকে জিতিয়েছেন তাঁদের কথা শোনা এবং আওয়াজ তোলাটা তাঁর দায়িত্ব।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জলপাইগুড়িতে 'শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি যাত্রায়' জন বার্লাকে পাশে বসিয়ে দিলীপ বলেন,'গত ৭৫ বছর ধরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কেন উত্তর বাংলার উন্নয়ন হয়নি? কেন এখানকার মানুষকে চিকিৎসা, শিক্ষা, চাকরি ও পেটের জন্যে বাইরে যেতে হবে! কেন হাসপাতাল নেই? কেন ভালো স্কুল-কলেজ নেই? কেন কলকারখানা নেই? জীবিকার ব্যবস্থা নেই!' উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দিলীপ জুড়ে দিয়েছেন জঙ্গলমহলকে। তিনি বলেন,'জঙ্গলমহলেও সেই অবস্থা। ওখানে আমার মা-বোনেরা এখনও শালপাতা, কেন্দুপাতা নিয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন। কেন তাঁদের রাঁচি, ওড়িশা ও গুজরাটে চাকরির জন্য যেতে হচ্ছে? তাঁদের অধিকার নেই স্বাধীনতার, উন্নয়নের লাভ পাওয়ার? তাই তাঁরা যদি দাবি করে থাকেন তা অবৈধ নয়।'


জন বার্লার পাশে বসে দিলীপ বলেন,'জন বার্লা একজন জনপ্রতিনিধি। যাঁরা তাঁকে জিতিয়েছেন তাঁদের কথা শোনা তাঁর দায়িত্ব। আওয়াজ তোলাটা তাঁর দায়িত্ব।' তবে কি বিজেপি নিজের অবস্থান বদল করে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের দাবিকে সমর্থন করতে চলেছে? দিলীপ জানান,'পার্টির অবস্থান আছে। পার্টি ভেবে দেখবে।' 


বিজেপির অবস্থান জেনেও খোদ রাজ্য সভাপতি ফের রাজ্যভাগের প্রসঙ্গ উসকে দিলেন কেন?  এ নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়,'এটা সম্পূর্ণ কাপুরুষোচিত দ্বিচারিতা করে চলেছেন দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি। জন বার্লা মাঝে মধ্যে উত্তরবঙ্গের দাবি করছেন। রাজ্য সভাপতি ধুনো দিচ্ছেন। কদিন আগে নির্বাচন গেল। নির্বাচনী ইস্তাহার বের করেছিলেন। একবারও তো বললেন না তোমরা আমায় ভোট দাও, আমরা এসে বাংলা ভাগ করব। পরাজয় হজম করতে না পেরে বিভেদকামী, বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতি করছে।'


আরও পড়ুন- TMC: ২১টি মৃত্যুর ঘটনার ১৬টিই তৃণমূল কর্মীর? 'ভোট-হিংসা'য় পাল্টা দাবি Jago Bangla-য়


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)