নিজস্ব প্রতিবেদন: খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল সভাকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলের ভার্চুয়াল সভা থেকে করোনা, বিজেপির ত্রাণ থেকে তৃণমূলের অনুকরণনীতি- রবিবার দিলীপ ঘোষের কথায় উঠে এলে একের পর এক প্রসঙ্গ, বলা ভালো শাসকদলকে বিঁধবার একের পর এক অস্ত্র ।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

‘খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’
তিনি বলেন, “ভার্চুয়ালে খোকাবাবুকে দেখতে পেলাম। খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন হয়েছে। চারমাস খোকাবাবু কোথায় ছিলেন। এখন পাঁচ লাখ জোগাড় করছেন সেবা করবেন।“ শাসকদলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, যাঁরা একটাও ত্রিপল পাননি, যাঁরা খাবার পাচ্ছেন না, তাঁদের কথা তখন মনে পড়েনি?” তিনি দাবি করেন, বিজেপি ৩৫ লক্ষ পরিবারকে চাল ডাল ও ২০ লক্ষ পরিবারকে রান্না করা খাওয়ার খাইয়েছে। তাঁর কটাক্ষ, “তখন তৃণমূলের এই পাঁচ লক্ষ ভলেন্টিয়ার কি চাল লুঠ করতে ব্যস্ত ছিল?”

‘বিজেপিকে অনুকরণ তৃণমূলের’
তৃণমূল বিজেপিকে অনুকরণ করে বলেও দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বিজেপি আগে যেটা করে, তৃণমূল সেটাকে পরে অনুকরণ করে। আমরা যেমন ভলান্টিয়ার লাগিয়ে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে চাল ডাল পৌঁছে দিয়েছি। সেবা করেছি। এখন টিএমসি মনে করছে মানুষ ক্ষেপে গিয়েছেন। দিদিমণিও সব জিনিস দেরিতে বুঝতে পারেন।“

‘ভার্চুয়ালর্যালি কটাক্ষ’

অভিষেকের ভার্চুয়াল সভা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন, “মোদিজি যখন ভার্চুয়াল সভা করেছিলেন, দিদিমণি তখন হেসেছিলেন, বসেছিলেন কোটি কোটি টাকা খরচ করে নাকি বিজেপি ভার্চুয়াল র্যালি করছেন। আসলে তিনি এর অর্থই তখন বুঝতেন না। মোদিজির ভার্চুয়াল র্যালিতে এত মানুষের সমাগম হল, আর উনি হাসলেন। তারপর হয়তো ওঁকে কেউ বুঝিয়েছেন যে ভার্চুয়াল র্যালিকে টাকা খরচ হয় না, তাই নিজেও করে ফেললেন। আসলে বিজেপিকে দেখেই সব করেন ওঁ।”

আরও পড়ুন: উপভোগের পর ফেরত যায় ‘সে’, আর ফেলে যায় মুণ্ড ও হাতবিহীন দেহ


করোনা প্রসঙ্গ

আরও বিস্ফোরক কথা বলেন দিলীপ ঘোষ। করোনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারিতেই মোদিজি দিদিমণিকে সতর্ক করেছিলেন, তখন তিনি হেসেছিলেন, লোককে বুঝিয়েছিলেন দিল্লি দাঙ্গা থেকে নজর ঘোরাতেই মোদিজি এমন কথা বলছেন। দেরিতে বুঝেছেন করোনা কতটা ভয়ঙ্কর, এখন বাংলার মানুষ বুঝছেন।”