নিজস্ব প্রতিবেদন: “শুনছি স্কুল খুলবেন। এখনও অগাস্ট আসেনি। সেপ্টেম্বরে কী হবে,বুঝছেন কী করে। রাজনীতি হচ্ছে।” স্কুল খোলা নিয়ে মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
শুক্রবার সকালে সুভাষ সরোবরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তখনই তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়


দিলীপ ঘোষ বলেন, “সেন্ট্রাল বোর্ড আগে সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা নিতে চেয়েছিল। তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চেঁচামেচি করছিলেন। এখন শুনছি স্কুল খুলবেন। এখনও অগাস্ট আসেনি। সেপ্টেম্বরে কী হবে, বুঝছেন কী করে!”
তিনি বলেন, “রাজনীতি হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুকূল হলে সব খোলা উচিত।  ছেলেমেয়েদের বছর নষ্ট হচ্ছে। একটা লকডাউন ঘোষণা করতে চারবার ঘোষণা করতে হয়। মহরম,  শুক্রবারে লকডাউন হবে না। কিন্তু রামমন্দির প্রতিষ্ঠার দিনে লকডাউন করতেই হবে। কাউকে সন্তষ্ট করতে করছেন। কিন্তু এতে আরও ক্ষতি হবে।”

বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল


দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “দলে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। মিডিয়ার একটা অংশ কারও নির্দেশে এটা রটাচ্ছে৷ দলের নেতাদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। দল ঐক্যবদ্ধই রয়েছে।”  তিনি আরও জানান, বিজেপি কর্মীদের মানুষ বিশ্বাস করে। বিরোধীরা গল্প রটাচ্ছেন, এটা রণনীতি।


তৃণমূলের মুখপাত্র নুসরত

দিলীপ ঘোষ বলেন, "তৃণমূলের নিজস্ব বিষয়। তবে সবাইকে পদ দিয়ে সন্তুষ্ট করে বা কেস দিয়ে ভয় দেখিয়ে দলে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। এভাবে বেশিদিন হবে না। গণ্ডগোল চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”


 


আমফানের ত্রাণে স্বচ্ছতা


দিলীপ ঘোষ বলেন, “এই দল,  সরকারকে কেউ বিশ্বাস করে না। বাম আমলে উনিই বলেছিলেন,  আয়লার টাকা না দিতে। সেই আমলা,  কর্মচারীরাই আছেন। তাই লুটের আশঙ্কা আছেই।” তিনি আরও বলেন, “আমরা কেন্দ্রকে নিজস্ব এজেন্সি দিয়ে সার্ভে করে অ্যাকাউন্টে ত্রাণ দিতে বলেছি। মনে হয় সেটাই করবে, তাই টাকা আটকে রেখেছে।”


আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে রেকর্ড মৃত্যু রাজ্যে, আক্রান্তও প্রায় আড়াই হাজার


কোভিড হাসপাতালে অব্যবস্থা
দিলীপ ঘোষ বলেন, "প্রথম থেকে সব লোকানোর চেষ্টা চলছে। মৃতের সংখ্যা, হাসপাতালের বেড। ওঁ বলছেন,  কোথাও যেন রিফিউসাল না হয়। আদতে কোভিড হাসপাতালে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। উনি বলছেন ৪০% বেড খালি আছে। তাহলে রোগী ফেরানো হচ্ছে কেন?”