পার্থ চৌধুরী: 'টিএমসি-র গরম হাওয়া। পদ্মফুলের মিষ্টি হাওয়া’। রবিবারের সকালে প্রচারে দিলীপ ঘোষের মুখে শোনা গেল এমনই কথা। দিলীপ ঘোষের প্রচারে এবার দেখা গেল হাতপাখা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার সকালে যথারীতি প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এদিন আবার টাউন হলে প্রাতঃভ্রমণে যান তিনি। এরপর জি টি রোডের উপর একটি চায়ের দোকানে চা চক্রে মিলিত হন মানুষের সঙ্গে। সেখানেই তার সমর্থকেরা হাতপাখা বিলি করেন পথচলতি মানুষের মধ্যে।


হঠাৎ প্রচারে পাখা কেন? তারও ব্যাখা রয়েছে দিলীপের কাছে।


তাঁর কথায়, 'দেখুন আজকাল বক্তৃতা কেউ শোনে না। সবাই সবাইকে জানে। প্রচারে নতুনত্ব আনত হবে। চায়ের কাগজের কাপে, গেঞ্জি, টুপিতে। মানুষের প্রয়োজন আমরা বুঝি। চা খেতে হবে। চা চক্রে তাই কাপে ছবি দেওয়া থাকে’।


তিনি আরও বলেন, ‘দারুণ গরম পড়েছে। রাস্তায়, গ্রামে দেখছি মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। তাই হাতপাখা বিলি করা হল।


তবে এই প্রসঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, 'টিএমসি-র হাওয়া ল্যু। গরম হাওয়া। ও হাওয়া খাবেন না। পদ্মফুলের গন্ধযুক্ত আমাদের পাখার মিষ্টি হাওয়া খান’।


বিলি করা এই হাতপাখায় রয়েছে দিলীপ ঘোষকে ভোট দেবার আহ্বান।


আরও পড়ুন: Heat Wave in Bengal: তাপমাত্রা পৌঁছল প্রায় ৪৫° সেলসিয়াসে, লু'র আতঙ্ক! কোথায় কতক্ষণ লাল সতর্কতা?


পাখা উপহার  পেয়ে খুশি স্থানীয় প্রবীণ থাকহরি ঘোষ। তিনি জানান, ‘প্রকৃতির সঙ্গে রাজনৈতিক দাবদাহ চলছে এই রাজ্যে। সেই জন্য তারা দিলীপ বাবুর দিকে তাকিয়ে আছেন’।


অন্যদিকে এই প্রবল গরমে সুস্থ থাকার টিপসও দিলীপ ঘোষ দিয়েছেন আমজনতাকে। সেখানেও দেশি দাওয়াই দিলীপের।


তিনি বলেন, 'সুস্থ মানুষেরা একটু নিয়ম মেনে চললে অসুস্থ হবেন না। কিন্তু অসুস্থ বয়স্করা যেন বেশি রোদে না বেরোন। আমাদের বেরতে হচ্ছে। শুকনো গামছা, সুতির জামাকাপড় ব্যবহার করুন। এমনি ঠান্ডা জল খান। এটা ওটা খাবার দরকার নেই। ডাবের জল, আমের সরবত, লেবুজল বা বেলের সরবত খান। আম লু বাঁচাতে পারে। মাছ, মাংস, ডিম কম খান। সুস্থ শরীরকে ব্যস্ত করবেন না’।


আরও পড়ুন: Bengal News LIVE Update: বাজারে আলো বন্ধ করে বিজেপি নেতাকে মার! অভিযুক্ত তৃণমূল


পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, 'কীর্তি আজাদকে বলছি, তোমার চোখ থাকলে দেখে যাও। তোমার বিধায়ক খোকন দাস মহিলাদের সঙ্গে কী ব্যবহার করছেন’।


রবিবার সকালে দিলীপ ঘোষের কাছে বৈশালী মুখার্জি নামের এক মহিলা অভিযোগ নিয়ে আসেন। তার অভিযোগ, ঢলদিঘি এলাকায় তাঁর বিউটি পার্লার ছিল। ২০২৩ সালে বিধায়ক খোকন দাসের নেতৃত্বে তাঁর দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁর বৈধ কাগজ ও আদালতের নির্দেশ আছে। তিনি সবিস্তারে জানিয়েছেন। তবু প্রশাসন কিছু করে নি।


এই শুনে ক্ষুব্ধ হন দিলীপ। তিনি তাঁকে আশ্বস্ত করেন, কিছু না হলে ভোটের পর দাঁড়িয়ে থেকে দোকান খুলে দেবেন। অন্যদিকে একহাত নেন বিধায়ককে। বলেন, ‘যেখান মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সেখানে এমন ঘটনা। মামদোবাজি নাকি? বাপের জমিদারি পেয়েছেন? প্রশাসন নপুংসক হয়ে বসে আছে। একজন এমএলএ সমাজবিরোধী সে আজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে!’


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)