নিজস্ব প্রতিবেদন : পরের পর মাওবাদী পোস্টার। হুমকি। এই পরিস্থিতিতে জঙ্গলমহলে জাঁকিয়ে বসেছে মাওবাদী আতঙ্ক। ঘটনার গুরুত্ব দিয়ে আজ ঝাড়গ্রাম পুলিস লাইনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন ডিজিপি বীরেন্দ্র। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এডিজি পশ্চিমাঞ্চল, আইজি বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপার, ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিস সুপার (অপারেশনস), বাঁকুড়ার এসপি ও বেলপাহাড়ির ডিএসপি। সকাল ১১টা থেকে বেলা ২টো, ৩ ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৈঠকে স্থির হয়েছে, মাওবাদী পোস্টারগুলির সারবত্তা খতিয়ে দেখা হবে। কোনওভাবেই গ্রামে যাতে মাওবাদীরা ঘাঁটি গেড়ে বসতে না পারে, তাই গ্রামবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হবে। গ্রাসরুট লেভেলে সোর্স বাড়ানো হবে। কোনওভাবেই ২০০৭-০৮ এর পুনরাবৃত্তি চায় না প্রশাসন। তাই প্রথম থেকেই তৎপর পুলিস কর্তারা। মাওবাদী কার্যকলাপ যাতে সেই সময়ের মতো মাথাচাড়া দিতে না পারে, সেদিকে সমগ্র ফোর্সকে নজর দিতে বলা হয়েছে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা, জনসংযোগ বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। যাতে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে সবরকম সহযোগিতা পাওয়া যায়। বহিরাগত কারোর গ্রামে ঢোকা থেকে শুরু করে, তার সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর যাতে স্থানীয় থানা সহজেই পেয়ে যায়। সবমিলিয়ে জেলা পুলিসকে সতর্ক থাকতে বলেছেন ডিজি বীরেন্দ্র। সূত্রের খবর এমনই।


এদিকে জঙ্গলমহলে মাওবাদী কার্যকলাপ মাথাচাড়া দেওয়ার পিছনে শাসকদলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দাবি করেছেন, "জঙ্গলমহল আর উদ্ধার করা যাবে না এটা বুঝতে পেরেই মাওবাদীদের নামে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনের আগে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।" ঝাড়গ্রামে উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকের পরই এমন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে আরও বিস্ফোরক অভিযোগও করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী ও পরিবহনমন্ত্রী একাধিকবার মাওবাদীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।" যদিও দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে আমল দিচ্ছে না তৃণমূল শিবির। মাওবাদী নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর স্পষ্ট কথা, "ঝাড়গ্রামের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।"


আরও পড়ুন, করোনায় এবার বিনামূল্যে ই-চেম্বারে ডাক্তার দেখান, পোর্টাল চালু করল কলকাতা পুরসভা