Dilip Ghosh: ভোট পরিচালনা করার যোগ্যতা নেই কমিশনারের, তীব্র তোপ দিলীপের!
`আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি এই সরকার সুস্থ ভোট চায় না। নমিনেশন হওয়ার পরেও, স্কুটনি হওয়ার পরেও ক্যান্ডিডেটদের নাম্বার চলে যাচ্ছে। তার জন্য সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। এই রাজ্য সরকারের ও নির্বাচন কমিশনারের একদিনও ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই। মানুষের সাধারণ ভরসা ওই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উপরে নেই।`
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'এখন যা পরিস্থিতি পশ্চিমবাংলার পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা করার মত মানসিকতা নেই নির্বাচন কমিশনারের। আর যোগ্যতাও নেই। উনি যেদিন থেকে হয়েছেন এই সরকারের তাবেদারি করছেন। একবারও মনে হয়নি এটা একটা নিরপেক্ষ সংস্থা। রাজ্য সরকারের মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অঙ্গুলিহিলনে কাজ করছেন তিনি। নাহলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কোনও দরকার ছিল না। উনি দ্বিতীয় দিন থেকে নমিনেশন দেওয়ানো শুরু করলেন। আর সেদিন থেকেই গন্ডগোল। একবারও তার কাছ থেকে কোনও আপিল দেখিনি। কোনও কড়া পদক্ষেপ দেখেনি। আর নমিনেশনেই ৮-৯ জন লোক মারা গেল, কোনও অ্যাক্টিভিটি নেই ওনার। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মুখোশ হয়ে উনি কাজ করছেন। সেই জন্য উনি যদি কমিশনার থাকেন, তাহলে এই নির্বাচন সফল হবে না। পুরো হবে কিনা, তাও সন্দেহ। বহু প্রাণহানি ঘটবে।' কড়া সমালোচনা করলেন দিলীপ ঘোষ।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি এই সরকার সুস্থ ভোট চায় না। নমিনেশন হওয়ার পরেও, স্কুটনি হওয়ার পরেও ক্যান্ডিডেটদের নাম্বার চলে যাচ্ছে। তার জন্য সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। এই রাজ্য সরকারের ও নির্বাচন কমিশনারের একদিনও ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই। মানুষের সাধারণ ভরসা ওই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উপরে নেই।' এমনকি ভোট প্রচারে নবজোয়ারের মডেলে জেলায় জেলায় যে তৃণমূলের ৫৮ নেতা ঘুরবেন, তাদের সঙ্গে শুধু পুলিশ-ই থাকবে। পুলিশ ছাড়া কেউ থাকবে না। কেননা সাধারণ মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে তারা তৃণমূলের সঙ্গে নেই। কটাক্ষ দিলীপের। আজ সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের বোগদা এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে চা-চক্রে এমনটাই বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত তুঙ্গে পৌঁছেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়েছে রাজ্যপাল। মনোনয়ন পর্বেই রাজ্যজুড়ে অশান্তি। আলোচনার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। কিন্তু যাননি তিনি। আর তারপরই রাজ্যপালের তরফে কড়া পদক্ষেপ!উল্লেখ্য, পদাধিকার বলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগকর্তা হলেন রাজ্যপাল। গত মাসেই রাজ্যের নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীবা সিনহার নাম প্রস্তাব করে ফাইল পাঠানো হয় রাজভবনে। এরপর স্রেফ দায়িত্ব গ্রহণই নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনও ঘোষণা করে দেন রাজ্যের নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার। এখন তাঁর জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠানোর রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে চড়া সুর তৃণমূলের। ভোটের আগে রাজভবনকে বিজেপির পার্টি অফিসে পরিণত করেছেন রাজ্যপাল। বিরোধীদের হার আটকাতে চাইলে আনন্দ বোস দূর হটো। তোপ কুণাল ঘোষের।
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: বিরোধী মেগা বৈঠকে যোগ দিতে আজ পাটনায় মমতা, অভিষেককে সঙ্গী করে মোক্ষম চাল