নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল কংগ্রেস করতে হলে ত্যাগী হতে হবে। লোভী হওয়া চলবে না। সিপিএম হল লোভী, বিজেপি ভোগী আর তৃণমূল ত্যাগী। বাঁকুড়ার জনসভা থেকে সিপিএম-বিজেপিকে এক বন্ধনীতে ফেলে নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাল্টা দিলীপ ঘোষ দাবি করলেন, বিজেপির লোকেরা ফকির। কে ত্যাগী, কে ভোগী তা আগামী নির্বাচনে বিচার হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,''টিএমসি নেতাদের বাড়ি ও গাড়ি দেখলে বোঝা যায়, তাঁরা কতটা ত্যাগী! যাঁরা জন সাধারণের পয়সায় তিন তলা বাড়ি করেছে, চকচকে জামাকাপড় পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাঁরা ত্যাগী হয়ে গেল। কে ত্যাগী কে ভোগী আগামী নির্বাচনে বিচার হবে।''


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি জনসভায় মন্তব্য করেছিলেন, তিনি ফকির। ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে যাবেন। তৃণমূল নেত্রীর 'ভোগী' কটাক্ষের জবাবে দিলীপের মুখেও এল 'ফকির'। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়,''ভারতীয় জনতা পার্টির লোকেরা ফকির। আমরা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। লোকের বাড়িতে খাচ্ছি। আদিবাসীদের বাড়িতে খাচ্ছি। ওদের তো কেউ খেতে ডাকছেই না। উনি তো আবার ডালভাত খান না!''


লোকসভা ভোটে সিপিএম-কংগ্রেস একজোট হয়ে লড়াই করেছিল বলেও এ দিন দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ''জগাই-মাধাই-গদাই এক হয়েছে। লোকসভা ভোটে একসঙ্গে কাজ করেছিল। এক সঙ্গে ভোট দিয়েছে। আমি জানি এরা কারা। হার্মাদরাই এখন বিজেপিতে গিয়েছে।" সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী পাল্টা মন্তব্য করেন, বাঁকুড়ায় তো উনিই বিজেপিকে এনেছেন। দলের সাংসদকেও বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছেন। আগামী ভোটে বিজেপি-তৃণমূলকে হারিয়ে সরকার গড়বে বামেরাই।           


আরও পড়ুন- প্রশান্ত কিশোর বহিরাগত, 'দাদার অনুগামী'-দের পোস্টার ঘিরে চাপানউতোর শুরু নৈহাটিতে