নিজস্ব প্রতিবেদন: বরাবরই চাঁচাছোলা। শাসক দলের আক্রমণের পাল্টা দিতে এক সেকেন্ডও সময় লাগে না। কথা হচ্ছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে। তাঁর রাজনৈতিক বক্তব্য একাধিকবার বিতর্কের সৃষ্ট করেছে বটে! তবে আড়ালে-আবডালে অনেকেই স্বীকার করেন, বিতর্ক হলেও খবরে থাকার মুন্সিয়ানা রয়েছে দিলীপের। সে কারণেই তাঁর অনুগামীরা পছন্দ করেন 'দাদা'কে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি নিজেও সে কথা স্বীকার করেছেন। নিজে মুখেই বলেছেন,'যত বিতর্ক তত প্রচার। এতে দলের লাভ। রাজনীতিই তো করতে এসেছেন।' এবার সেই দিলীপ ঘোষ কৃষক আন্দোলনে মমতার সমর্থনের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হাতিয়ার করলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য।    
   
বনধকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ দিনের সভাতেও মমতা মনে করিয়ে দিয়েছেন, কৃষক স্বার্থে ২৬ দিনের অনশন করেছিলেন। কৃষকদের জন্য মন কাঁদে। তৃণমূল নেত্রীকে বিঁধে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'মমতার হাতে কোনও ইস্যু নেই। বরং উল্টোটা। এত তৃণমূলের বিরুদ্ধে ইস্যু আছে, সাধারণ মানুষ, বিরোধীপক্ষ, বিজেপি ঝাঁপিয়ে পড়ছে। হাজার হাজার লোক নিয়ে আন্দোলন করছে বিজেপি। আমাদের রুখতে গুলি চালাতে হচ্ছে। মমতার বাঁচার জন্য খড়কুঠো ধরার চেষ্টা করছেন।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এরপরই সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য টেনে আনেন দিলীপ ঘোষ। বলেন,'সেলিম ভালই বলেছেন, বিনা নেমন্তন্নে উনি বিয়েবাড়িতে ঢুকে পড়ছেন। এখানে বনধে কেউ ডাকেনি। উনি সমর্থন করছেন। ১০ বছরে কৃষক, যুব, শ্রমিক কারও জন্য কিছু করেননি। এখন খালি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। মমতার আন্দোলন এখানে সফল হবে না। মানুষ তাঁকে বিদায় করবে।'


দিন কয়েক আগে মহম্মদ সেলিম কটাক্ষ করেছিলেন,'উনি ইভেন্ট ম্যানেজার। বড় বিয়েবাড়ি দেখলেই যেচে ঢুকে পড়েন। সংসদ ও বিধানসভায় নিজের অবস্থান ঠিক করুন আগে। ওঁর কৃষি জমি কমিটির কী ভূমিকা? তাঁরা নেই কেন? উনি ব‍্যক্তিগত উদ্দেশ্যের জন্য এসব করতে চান।'


দিলীপ ঘোষের বক্তব্য নিয়ে তৃণমূল ও মহম্মদ সেলিমের তরফে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার আগে পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 


আরও পড়ুন- আমাদের মধ্যে দুষ্কৃতীরা থাকলে গ্রেফতার করল না কেন? CBI-দাবি করে প্রশ্ন Dilip-র