ইন্দ্রজিৎ সাহু: কাজে ফাঁকিতে কড়া মুখ্যমন্ত্রী। দরকারে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের আইন প্রয়োগ। বরখাস্তের হুঁশিয়ারি। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চাইলে, কাজও তেমন করতে হবে, প্রয়োজনে শাস্তি। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। পাল্টা কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। এদিন তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চারিদিক থেকে ডুবে যাচ্ছে, টাকা পয়সা নেই কাজকর্ম নেই। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর কাজ না করে করে কর্মচারীদের অভ্যাসও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ধমকে চমকে কাজ হবে না, উনারা ডিএ চাইলে দেবেন না। আর ডবল কাজ করবেন এটা হয় না। অবশ্যই কাজ করতে হবে পুরো সময় এবং তাদের অধিকারটাও দেখতে হবে। আসলে পশ্চিমবাংলায় কর্মসংস্কৃতি নষ্ট হয়ে গেছে।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Tax Fail: ২০ হাজার গাড়ির ট্যাক্স ফেল! সরকারের ঘরে বকেয়া ৫ কোটিরও বেশি...


সন্দেশখালিকাণ্ডে পুলিস-সিবিআই যৌথ তদন্ত। সিট গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের। সিট প্রধান হিসেবে সিবিআই অফিসার নিয়োগের আবেদন নাকচ। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বাবুর বক্তব্য, যে কাজটা পুলিসের করা উচিত সেটা সিবিআইকে করতে হচ্ছে। যেমন অনেক দুর্নীতির তদন্ত সে শিক্ষা হোক,খাদ্যের হোক তৃণমূলের সরকার শুরু করেছিল দিয়ে চেপে দিয়েছে বলে সেই তদন্ত সিবিআই করছে। এই পাপ যদি ওরা আগে বিদায় করত আজকে সিবিআই এর মুখ দেখতে হত না। ঠিক সেরকম সন্দেশখালির যে ঘটনা দেশের সীমানাবর্তী এলাকা এই ধরনের বিতর্কিত দুর্বৃত্ত যারা তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দেশের সীমাকে নিয়ে অবহেলা করা হচ্ছে। সেখানে কড়াকড়ি ভাবে পুলিসের স্টেপ নেওয়া উচিত। পুলিসের কোন উপস্থিতি নেই। তাই শাহজাহান শেখকে অ্যারেস্ট করা খুঁজে বার করার জন্য পুলিস যদি সহযোগিতা না করে সিবিআই পারবে না। আমি জানি না পুলিস সহযোগিতা করছে,না বিরোধিতা করছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন সংযুক্তভাবে কাজ করার জন্য আমরা আশা করব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই সহযোগিতা করবে।


বিচারপতির নির্দেশে শেখ শাজাহানের বাড়িতে বসল সিসিটিভি। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেই নজরদারি চালাবে পুলিস। শাহজাহানের অফিস থেকে ইটভাটাতেও বসল ক্যামেরা। বিজেপি নেতার কটাক্ষ, ওখানে সিসিটিভি ক্যামেরার দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না। সবই দুর্বৃত্ত, ওইদিন যত লোক এসে ঘটনা ঘটিয়েছে, সবাই তো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে সিসিটিভির কি আছে? তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কে নেবে? তাদের সঙ্গে আছে, পুলিসের চোখের সামনে অপরাধ করেছে শাহজাহান শেখ। পুলিস সবকিছু জানে তাকে এতদিন সেল্টার দিয়েছে। যত অপরাধ করেছে, আমরা জেনে যাই পুলিস জানে না? পুলিস ও সিবিআই যদি যায় একসঙ্গে অভিযান করে ওদেরকে ধরা সম্ভব। তারা কখন বাংলাদেশে চলে যায় এদেশে আসে। আর সেটা তো ওখানকার সাধারণ মানুষ জানে তারা কোথায় যাচ্ছে কি করছে এবং শাহজাহান শেখ কোথায় আছে সেটাও ওখানকার লোক জানে।


আগামী ২২শে জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংহতি যাত্রা। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, আগে তৃণমূল পার্টির মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংহতি নিয়ে আসুন। তারপর সমাজে ঘুরবেন। যিনি হিন্দু মুসলমান করে ভোট নিয়েছেন। যিনি রাজবংশী ও অরাজবংশী করে ভোট নেয়। এসটি জেনারেল করে ভোট নেন। জঙ্গলমহলে আদিবাসী কর্মীদের খেপিয়ে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করে। তার কি সংহতি বলার অধিকার আছে? এখন পার্টির মধ্যে সংহতি নেই মারামারি গুলি চলাচলী হচ্ছে। সেটা আগে উনি ঠিক করুন। 



আরও পড়ুন, Jalpaiguri: মোবাইল গেমে বুঁদ, অসাবধানতায় অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ!


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)