নিজস্ব প্রতিবেদন: দ্বিতীয় দফায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি হয়ে আরও বেলাগাম দিলীপ ঘোষ। বিরোধী ও বুদ্ধিজীবীদের আক্রমণ করতে গিয়ে ফের বিতর্কে জড়ালেন বাংলা বিজেপির দাবাং লিডার। শালীনতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। বুদ্ধিজীবীদের নিশানা করে দিলীপের কটাক্ষ, পরজীবী বুদ্ধিজীবীরা অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে চিরদিন ফূর্তি করেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতির পদে দ্বিতীয়বার অভিষেক হয়েছে তাঁর। শুক্রবার বিতর্কের বোমা ফাটিয়ে আবার খবরের শিরোনামে দিলীপ ঘোষ। সোজা কথা বলার হিম্মত দেখাতে গিয়ে শালীনতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। নয়া নাগরিক আইনের সমর্থনে হাওড়ায় জনজাগরণ যাত্রা। সেখানে সভামঞ্চ থেকে বেলাগাম আক্রমণ। বুদ্ধিজীবীদের বিঁধতে গিয়ে তাঁদের শয়তান পর্যন্ত বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বলেন,''পরজীবী বুদ্ধিজীবীরা অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে চিরদিন ফূর্তি করেছেন। কোথায় ছিলেন বাংলাদেশে আমাদের পূর্বপুরুষদের উপরে অত্যাচার করা হয়েছে যখন, বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুকুরের মাছ চুরি করা হয়েছিল, জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, মা-বোনেদের দিনের আলোয় ধর্ষণ করেছিল, ফসল নষ্ট করেছিল। তখন পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীদের রাস্তায় নামতে দেখেনি। শয়তানরা আমাদের খায় পরে বেঁচে থাকে আমাদেরই বিরোধিতা করে।''


 


এদেশের রাজনীতিতে কদর্য আক্রমণ নতুন কিছু নয়। কিন্তু রাজ্যস্তরের এক নেতা, কেন্দ্রে যাদের শাসক দল, তিনি এভাবে বাবা-মায়ের পরিচয় টেনে এনে বিরোধিতাকে নিশানা করছেন, তা দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছেন অনেকেই। অনেকে আবার বলছেন, দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশিত। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্বে বাংলায় ১৮টি আসন জিতে নেয় বিজেপি। যা এখনও পর্যন্ত বাংলায় বিজেপির সবচেয়ে ভাল ফল। তাই নানা সময় কুকথার বন্যা বইয়ে দেওয়ার পরেও, একুশের দিকে তাকিয়ে দিলীপে আস্থা রেখেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। 


আরও পড়ুন- বিশ্বভারতীতে বাম ছাত্রদের উপরে হামলার তদন্তে 'দিল্লি পুলিস' মোদীঘনিষ্ঠ অধ্যাপক