নিজস্ব প্রতিবেদন: চিঠি,পাল্টা চিঠি। নাড্ডার নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে রাজ্য়ের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি। দিলীপের পাঠানো চিঠি নবান্নে পাঠিয়ে কার্যত কৈফিয়ত চাইল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জেপি নাড্ডার নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল আগেই। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবিতে দিলীপ ঘোষ চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডা দু-দিনের রাজ্য সফরে এসেছেন। কিন্তু তাঁর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়নি রাজ্য। পুলিসেরর গা ছাড়া মনোভাবের অভিযোগ করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে। আর সেই চিঠিই পাঠানো হয়েছে নবান্নে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বঙ্গ সফরের প্রথম দিনে হেস্টিংসে একদফা বিক্ষোভের মুখে পড়েন নাড্ডা, কালো পতাকা দেখানো হয় তাঁকে। এরপর দ্বিতীয় দিনে ফের জেপি নাড্ডার যাত্রাপথে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শিরাকোল। বিক্ষোভে দফায় দফায় আটকে যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির গাড়ি। ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়িতেও হামলার অভিযোগ ওঠে। পাথর ছুড়ে গাড়ির কাচ ভাঙার অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় একাধিক গাড়ি। গাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি ও বোতল ছোড়ার অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ, হামলা চলে অনুপম হাজরার গাড়িতেও। 


এরপর ফের রাজ্যপালের কাছে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট রাজ্যপালের। তাঁর টুইট বিজেপি, সভাপতির কনভয়ে শাসক দলের হার্মাদ বাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছে।  নৈরাজ্য ও আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আজ সকালে এনিয়ে মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে সতর্ক করার পরেও এটা ঘটল।  টুইটে প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। 


অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক রাজ্যে। আজকের পরিস্থিতিতেই স্পষ্ট বাংলায় আইনের কোনও শাসন নেই। মন্তব্য মুকুল রায়ের। যদিও এই হামলা পরিকল্পনা মাফিক বলেই দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্বরা। গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে একই সুর শোনা গিয়েছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। বিজেপির অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের সকলেই।