কিরণ মান্না: পরনে ঘরোয়া পোশাক, সঙ্গে নেই নিরাপত্তারক্ষীও। পরিচয় গোপন রেখে এবার 'দুয়ারে সরকার'র ক্য়াম্পে হাজির খোদ জেলাশাসক। সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনলেন তিনি। এমনকী, ধমকও দিলেন এক সরকারি আধিকারিককে! ঘটনাস্থল, পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পঞ্চায়েত ভোটের আর বেশি দেরি নেই। রাজ্যের ফের চালু হয়ে গিয়েছে 'দুয়ারে সরকার'। প্রথমদিনেই ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র-সহ মোট ২ হাজার ৭৯১টি ক্যাম্প করা হয়।  দুয়ারে সরকারে ক্যাম্পে খাদ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্রেডিট কার্ড-সহ ২৫টি সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মিলছে জমির পাট্টা ও বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদনের সুবিধাও। এমনকী, কারও যদি অভিযোগ থাকে, তাহলে তাও জানানো যাবে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পেই। জেলাশাসকদের তেমনই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।


বিকেল গড়িয়ে তখন সন্ধে নেমেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না এক নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আসেন জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি, তাও আবার প্রশাসনিক ধরাচুড়োর বাইরে সাধারণ মানুষের মতোই! ফলে প্রথমে কেউ-ই তাঁকে চিনতেই পারেননি। সরকারি আধিকারিকরাও যে যার মতো কাজ করছিলেন। ঘুরে ঘুরে সবকিছু দেখছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক। শুনছিলেন সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ।  এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, জমি নিজের নথিভুক্ত করার জন্য নানাভাবে ঘোরানো হচ্ছে তাঁকে! কেন? সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিককে ধমক দেন জেলাশাসক। বলেন, 'সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্যই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করা হচ্ছে। মানুষকে কেন হয়রান করছেন? একটু মানবিক হতে পারেন না! ভবিষ্যতে এমন করলে, কড়া পদক্ষেপ করা হবে'।


আরও পড়ুন: জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব ইডির


এদিকে রাজ্যে এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বিধবারাও। সঙ্গে আগের মতোই বিধবা ভাতাও পাবেন তাঁরা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে। শুধু তাই নয়, চাষের জমির উপর দিয়ে যদি বিদ্যুৎ তার যায়, সেক্ষেত্রে ফসলের জন্য কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। জমিতে টাওয়া বসানো হলে, ফসলের দামে মিলবে বাড়তি টাকা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)