নিজস্ব প্রতিবেদন:  থমকে গেল দাড়িভিট হাইস্কুল খোলার প্রক্রিয়া। ছেলের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে  স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন নিহত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের মা। একই দাবিতে সরব গ্রামবাসীরাও।  তাঁদের দাবি, যতক্ষণ না ইসলামপুরকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে না যাবে, ততক্ষণ স্কুল খুলতে দেবেন না তাঁরা। সোমবার  স্কুল পরিচালন কমিটির পক্ষে তপনকুমার  মজুমদার স্কুলের পাশেই কয়েকজন অভিভাবককে নিয়ে  সভা করবার জন্য বসে ছিলেন।  প্রশাসনের নির্দেশে স্কুল পরিদর্শক না যাওয়ায় সেই সভাও বাতিল হয়ে যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরছে মমতার সরকার, রাষ্ট্রপতিকে বললেন দাড়িভিটে নিহতদের পরিজনরা


দাড়িভিট স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে গোলমালের ঘটনায় ছাত্র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ২০ শে সেপ্টেম্বর ঘটনার পর থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে  স্কুলের পঠন পাঠন।  রবিবার ইসলামপুর বিডিও অফিসে একটি প্রশাসনিক সভা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত ছিল  স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকরা। প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতে সোমবার সকালে দাঁড়িভিট স্কুল চত্বরে একটি সভা  করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  


রবিবার বিকালেই দাড়িভিট এলাকায় মাইক  নিয়ে  সভার উপস্থিত হওয়ার কথা প্রচার করা হয়।  কিন্তু সেই সভা হল না। সোমবার সকাল থেকেই তাপস ও রাজেশের মা ও আরও কয়েকজন মহিলা স্কুলের সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, সন্তানদের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত শুরু করতে হবে।


আরও পড়ুন: পদ খোয়ালেন ব্লক যুব সভাপতি, ক্যানিং গুলিকাণ্ডে কড়া তৃণমূল


স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্যরা অভিভাবকদের নিয়ে স্কুলের পাশে গাছতলায়  সভা করার প্রস্তুতি  নিলেও সেই সভায় যান না স্কুল পরিদর্শক। তাই সেই সভাও বানচাল হয়ে যায়।  ১০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে ঘটনার। এখনও থমথমে ইসলামপুর।  শিক্ষক  নিয়োগ নিয়ে যে অশান্তি শুরু হয়েছিল, তাতে এখনও অনিশ্চিয়তায় দাড়িভিট হাইস্কুলের ভবিষ্যত্। স্কুল কবে খুলবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।


অন্যদিকে, দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করলেন দাড়িভিটে নিহত ২ ছাত্রের পরিজনরা। সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। সঙ্গে ছিল বিজেপি নেতৃত্ব। দাড়িভিটে গুলিচালনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দেহের ফের ময়নাতদন্ত দাবি করতে পারেন তাঁরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, জাতীয় স্তরে তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়াতেই দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দাড়িভিটে নিহতদের পরিবারকে।