ওয়েব ডেস্ক : OT-তে  ধকল বেশি গেছে। তাই পেশেন্ট পার্টিকে দিতে হবে বাড়তি টাকা। আজব আবদার চিকিত্সকের। এমনকি টাকা না দিলে রোগী সুস্থ হবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত অস্থি বিশেষজ্ঞ সন্তোষ কুমার। সুবিচার চেয়ে স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ অসহায় পরিবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

OTতে পাঁচ-পাঁচটা ঘণ্টা! ধকল কম? তারওপর আবার অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে যদি ডাক্তারের আঙুল কেটে যায়? অতিরিক্ত টাকা চাওয়া কি অন্যায়? অবাক হচ্ছেন? এমনই বিচিত্র অভিজ্ঞতার শিকার বলাগড়ের শেখ ইসরাইলের পরিবার। অভিযুক্ত চিকিত্সক শহরের নামজাদা অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ সন্তোষ কুমার।


ভোগান্তি শুরু দেড়বছর আগে। স্টেশনে পড়ে যান বছর ষাটের শেখ ইজরায়েল। অস্থি বিশেষজ্ঞ সন্তোষ কুমারের অধীনে ভর্তি হন বেসরকারি এক নার্সিংহোমে। কিন্তু, OTতে ঢুকে কম আলোর অজুহাতে অপারেশন করেননি সন্তোষবাবু। বদলে ইসরায়েলকে টেনে নিয়ে যান দমদমের নার্সিংহোমে। হিপ জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট বাবদ ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার প্যাকেজ দেন।


টাকা জমা দেয় পরিবার। শুরু হয় অপারেশন। আসল গল্প শুরু এরপরই। OT থেকেই বেরিয়েই নিজমূর্তি ধরেন সন্তোষ কুমার। দাবি, অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা চাই।  টাকা না দেওয়ায়, শুরু হয় হুমকি। রোগীর পরিবার ও সন্তোষকুমারের কথোপকথনের অডিওই তার প্রমাণ।


নিরুপায় পরিবার দ্বারস্থ হয় স্বাস্থ্য কমিশনের। লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ইসরায়েলের পরিবার। যদিও সন্তোষ কুমারের সাফ কথা, এখনও কমিশনে জমা পড়া অভিযোগের কপি হাতে পাননি তিনি। হাতে পেলে যা বলার কমিশনকে বলবেন তিনি। মিডিয়াকে নয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য কমিশন।


আরও পড়ুন, ৭ বছরে রেকর্ড কমল রেপো রেট, কমতে পারে গৃহঋণে সুদের হার