নিজস্ব প্রতিবেদন: জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ কুমার অতুনুর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে। নিজের চেম্বারেই বিষ খান ডাক্তারবাবু। এরপর টোটোতে চেপে জলপাইগুড়ি কোতওয়ালি থানাতে গিয়ে বিষ খাবার খবর জানান ডাক্তারই। খোদ ডাক্তারের মুখ থেকে তাঁর বিষ পানের খবর পেয়ে থানা থেকে তত্ক্ষণাত্ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখন হাসপাতালের সি সি ইউ তে ভর্তি রয়েছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাসপাতাল সুপার ডাঃ গয়ারাম নস্কর জানিয়েছেন, ডাঃ কুমার অতুনু এখনো বিপদমুক্ত নয়। ২৪ ঘন্টা না কাটলে কিছুই বলা যাচ্ছেনা। সিসিইউ-তেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। এদিকে, ডাক্তারবাবুর স্ত্রী রাজিতা দত্ত রায় এর লিখিত অভিযোগ এর ভিত্তি তে ৩০৬/৪২০/ ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে জলপাইগুড়ি কোতওয়ালি থানার পুলিস। ডাক্তারবাবুর বিষ খাওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত সৈকত চ্যাটার্জীর খোঁজে রাতভর তল্লাসি চালিয়েছে পুলিস। অভিযুক্ত পলাতক। কিন্তু, কেন বিষ খেলেন ডাঃ কুমার অতুনু? কে এই সৈকত চ্যাটার্জী?


সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ির দেশবন্ধু পাড়ার ঔষধ ব্যবসায়ী সৌকত চ্যাটার্জীকে প্যাথলজি ল্যাব খোলার জন্য ১০ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন ডাঃ কুমার অতুনু। গত শনিবার ধার দেওয়া সেই টাকা ফেরত্ চাইতে যান ডাক্তারবাবু। কিন্তু টাকা ফেরত্ চাইতেই অকথ্য ভাষায় ডাঃ কুমার অতুনুকে গালিগালাচ করেন সৈকত এবং তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়, এমনটাই অভিযোগ। এই ঘটনার পর থেকে ডাক্তার বাবু মানষিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে পরিবারিক সুত্রে।



 আর সে কারণেই শনিবার সন্ধ্যায় রোগী দেখার চেম্বার শেষ করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেস্টা করেন তিনি, এমনটাই জানা যাচ্ছে।


এলাকায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, গরীব মানুষের কাছে ভগবান হিসাবে পরিচিত ছিলেন ডা: কুমার অতনু। স্বাভাবিক জীবন যাপন করতেন তিনি। গরীব মানুষকে কিভাবে কম খরচে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায় সেই চেষ্টাই সব সময় করতেন তিনি। ফলে এমন একজন মানুষের এই পরিণতিতে বিস্মিত জলপাইগুড়িবাসী।



ডাঃ কুমার অতনুর স্ত্রী রাজিতা দত্ত রায়। নিজস্ব ছবি।



ডাক্তার কুমার অতনুর স্ত্রী রাজিতা দত্ত রায়ের দাবি, "আমার শ্বামীর এই অবস্থার জন্য দায়ী সৌকত চ্যাটার্জী। তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি পুলিশ প্রশাসনের কাছে"।