নিজস্ব প্রতিবেদন: ডেথ সার্টিফিকেট নিতে হলে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারমশাইকে দিতে হবে ১০০০ টাকা। আর মৃত ব্যক্তির যদি কোনও লাইফ ইনসিওরেন্স থাকে এবং তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে হয়, তাহলে চিকিৎসককে ডেথ ক্লেম পলিসি থেকে প্রাপ্ত টাকার ১০ শতাংশ দিতে হবে। নইলে মিলবে না কাগজপত্র ও ডেথ সার্টিফিকেট। ক্যামেরাবন্দি হল পূর্ব মেদিনীপুরের এক চিকিৎসকের এমনই বক্তব্য। এই বক্তব্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম স্বদেশ রজ্ঞন। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পানিপারুল সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক তিনি। অভিযোগ, কুলটিকরী গ্রামের বাসিন্দা অসুস্থ এক ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয় ওই হাসপাতালে। ভর্তি করার পর হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।


এবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য চিকিৎসক স্বদেশ রজ্ঞন জানার কাছে গেলে, অভিযোগ তিনি টাকা দাবি করেন। বলেন ১০০০ টাকা না দিলে সার্টিফিকেট দেওয়া যাবে না। আর লাইফ ইনসিওরেন্স করা থাকলে সেক্ষত্রে পলিসিতে প্রাপ্ত টাকার ১০ শতাংশ দিয়ে সার্টিফিকেট নিতে হবে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পানিপারুল এলাকায়।


আরও পড়ুন, বেকারত্ব থেকে মানসিক অবসাদে বাবাকে খুন ছেলের, মায়ের সঙ্গেও জঘন্য আচরণ


মৃতের পরিবারের আরও অভিযোগ, তাঁরা টাকা দিতে না পারলে শেষে সাদা কাগজে ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। ৩০০ টাকা নিয়ে তারপর ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেন স্বদেশ রজ্ঞন। তবে একটা প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ করে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করা হল কেন? তবে কি কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল? সেটা ধামাচাপা দিতেই  ঘুষ চান ওই চিকিৎসক? নাকি পুরোটাই ওই চিকিৎসকের দুর্ব্যবহার?