নিজস্ব প্রতিবেদন:  আজ দোল। পরের দিন  হোলি। এককথায় লম্বা উইকএন্ড।  রঙিন শরীর, রঙিন মন, পলাশের পরশ, আর উদাসী হাওয়ায় গা ভাসানোর দিন আজ। আবির মেখে মাতামাতি তো থাকবেই, তার সঙ্গে থাকবে মনের মানুষের আরও কাছে আসার সুযোগ। আজ যাযাবর হয়ে যাওয়ার দিন। রঙিন মনে ব্যাগ গুছিয়ে কয়েকদিনের জন্য ঘর ছাড়ার দিন। রঙিন হয়ে ওঠা পলাশ আর বাতাসের হালকা ঠান্ডার আমেজ জানান দিচ্ছে বসন্ত এসেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রঙ বরণে প্রস্তুত মায়াপুর। চৈতন্যধাম হিসাবে পূণ্যার্থীদের কাছে প্রসিদ্ধ এই স্থান। তাই এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানেরও শেষ নেই। কৃষ্ণনামে মুখরিত মন্দির প্রাঙ্গন।চলছে কৃষ্ণবরণের প্রস্তুতি। মন্দির চত্বরে ফুলের মেলা।


অন্যদিকে নবদ্বীপও যেন ভারততীর্থ। দেশ বিদেশের ভক্ত সমাগমে জমজমাট ইস্কনের দোল বন্দনা। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পুজা অনুষ্ঠান। চলছে প্রভাতফেরি। খোল-করতাল-মৃদঙ্গের শব্দে যেন বৃন্দাবন নেমে এসেছে নবদ্বীপের মাটিতে। ভক্তবৃন্দের কোলাহলে আজ ইস্কনজুড়ে প্রেমের উত্‍সব। রঙের উত্সবে মেতে উঠেছে গোটা রাজ্য।


তবে দোলের কথায় প্রথমেই মনে পড়ে শান্তিনিকেতনের কথা। চিরাচরিত ঢঙেই এদিন বসন্ত উত্‍সবে মেতে উঠেছে বিশ্বভারতী। প্রতিবারের মতো ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরাও। রবিঠাকুরের গানে মুখরিত প্রাঙ্গণ। আজ উদাসী হাওয়ায় গা ভাসিয়ে বলতেই পারেন, "ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল....''