Duare Sarkar: `ঘেউ ঘেউ`-এ হল কাজ, কুত্তা থেকে দত্ত হলেন বাঁকুড়ার শ্রীকান্তি
শ্রীকান্তি দত্ত বলেন, রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলাম, প্রথম পর্যায়ে যখন রেশন কার্ড হাতে পাই তখন দেখি আমি শ্রীকান্তি দত্ত হয়ে গিয়েছে শ্রীকান্ত মণ্ডল। সংশোধনের আবেদন করে আমি হয়ে গেলাম শ্রীকান্ত কুমার দত্ত
মৃত্যুঞ্জয় দাস: ভোটার আইডি কার্ড হরেক কিসিমের ভুল চোখ পড়ে। কিন্তু পদবিতে দত্তের জায়গায় কুত্তা! বাঁকুড়া-২ ব্লকের শ্রীকান্তি কুমার দত্তের সঙ্গে এমনটাই হয়েছিল। তাঁর রেশন কার্ডে নামের জায়গায় ছিল বিস্তর ভুল। ধাপে ধাপে তা ঠিক করিয়ে শেষপর্যন্ত তার গিয়ে দাঁড়ায় শ্রীকান্তি কুমার কুত্তা। এরই প্রতিবাদে আজব কাণ্ড করে বসেন শ্রীকান্তি। গত বুধবার বাঁকুড়া-২ ব্লকে ছিল দুয়ারে সরকার-এর ক্যাম্প। সেখানেই নথিপত্র নিয়ে হাজির হয়ে যান শ্রীকান্তি। ভাগ্যক্রমে সামনে পেয়ে যায় জয়েন্ট বিডিওকে। ব্যাস তাঁকে ঘিরে শুরু করে 'ঘেউ ঘেউ'। কারণ তিনি তো কুত্তা! এতে ক্যাম্প জুড়ে হইচই পড়ে যায়। জয়েন্ট বিডিওর গাড়ি জানালায় দাঁড়িয়ে ক্রমাগত ঘেউ ঘেউ করে চলেন। সরকারি আধিকারিকের তখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা।
আরও পড়ুন-তৃণমূল বিধায়কের জন্মদিনে থানার ওসি! অপসারণ দাবিতে সরব বিজেপি
শ্রীকান্তির ওই দাওয়াইতে কাজ হয়। সঙ্গে সঙ্গেই সরকারি আদিকারিক তাঁকে নিয়ে গিয়ে তাঁর রেশন কার্ডে পদবি বদল করে দত্ত করে দেন। পরদিন তিনি সেই নথি তিন পেয়ে যান। প্রসঙ্গত,এভাবেই রেশন কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার আইডি-র মতো জায়গায় নামের ভুলে চরম ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। কে এসব করে তা জানার চেষ্টা করেও কুল কিনারা করতে পারেন না সাধারণ মানুষ। সেক্ষেত্রে শ্রীকান্তি ওই কাণ্ড করে হইচই ফেলে দেন।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে শ্রীকান্তি দত্ত বলেন, রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলাম, প্রথম পর্যায়ে যখন রেশন কার্ড হাতে পাই তখন দেখি আমি শ্রীকান্তি দত্ত হয়ে গিয়েছে শ্রীকান্ত মণ্ডল। সংশোধনের আবেদন করে আমি হয়ে গেলাম শ্রীকান্ত কুমার দত্ত। ফের দুয়ারে সরকারে গিয়ে সংশোধনের আবেদন করলাম। এরপর আর মানুষ নয়, হয়ে গেলাম কুকুর! শ্রীকান্তি দত্তের জায়গায় শ্রীকান্তি কুমার কুত্তা। এই ঘটনার পর আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি।
ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ শ্রীকান্তি দত্তের মা হীরা দত্ত। পদবির জায়গায় কুত্তা লেখায় তাঁদের 'সামাজিক 'সম্মানহানি' হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কাজে 'চুক্তিভিত্তিক আর অশিক্ষিত' কর্মী নিয়োগের ফলেই এই ঘটনা ঘটছে। আর যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে তাঁদের মতো সাধারণ মানুষকে। আমার ছেলের আমি একটা নাম রেখেছি। দোকান করে ছেলে সংসার চালায়, আর এই ঘটনায় শতগুণ সম্মানহানি হয়েছে বলে তিনি জানান।