নিজস্ব প্রতিবেদন : '২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতা আর দক্ষিণ ২৪ পরগণা আরও ফাঁকা করব। তৃণমূল কোম্পানি গড়ার জন্য আর লোক থাকবে না। আমাদের লক্ষ্য একটাই, দিল্লিতে যে সরকার আছে কলকাতাতেও সেই সরকার হবে', ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে হুঙ্কার ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'আমি ১৯ ডিসেম্বর এসেছি। আজ রাজীব এল।  একটা বৃত্ত পরিপূর্ণ হল। বাংলার মানুষের জন্য কাজ করব একসঙ্গে। এবার পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়ায় কী হতে চলেছে তা নিয়ে আর সন্দেহ থাকবে না'। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি নব্য বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, ' বাংলায় উন্নয়নের জন্য, আমরা একসঙ্গে লড়াই শুরু করেছিলাম। আমাদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল যে আমরা বাংলা তৈরি করব'। 


আরও পড়ুন: আমি ঝরা পাতা হলে তৃণমূলের আমাকে নিয়ে এত চিন্তা কেন? : রাজীব বন্দোপাধ্যায়


শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, 'তৃণমূল কংগ্রেস আর রাজনৈতিক পার্টি নেই। প্রাইভেট লিমিটেড হয়ে গিয়েছে। যাঁরা কর্মচারী হতে চান না, মর্যাদা চান, তাঁরা দল ছাড়ছেন। আমাদের রাজ্য ২ কোটি বেকার। তাঁরা চাকরি চান। মোদীর প্রত্যেকটি স্কিম চালু করা হয়নি বাংলায়। যমের দুয়ার প্রকল্প শুরু করেছে তৃণমূল। কেউ বিশ্বাস করবেন না। ওটা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নয়, ভোটের সাথী কার্ড। কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্প আছে। সেই সুবিধা আপনারা পাননি। বিজেপি এলে  আয়ুষ্মান প্রকল্পের সুবিধা পাবেন আপনারা'। 


শুভেন্দু অধিকারী বক্তৃতা শেষে বলেন, "দেশকে রক্ষা করতে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে"। আবারও আজ তোলাবাজ ভাইপো বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।   


আরও পড়ুন: Live: তৃণমূলকে উপড়ে ফেলে দিতে হবে, ডুমুরজলায় শাহের ভার্চুয়াল বার্তা
 


প্রসঙ্গত, শুক্ররাত রাতে দুদিনের রাজ্য সফরে আসার কথা ছিল অমিত শাহের (Amit Shah)। তারপর রবিবার যোগ দিতেন ডুমুরজলায় মেগা সভায়। কিন্তু শুক্রবার বিকালে দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের জেরে শেষ মুহূর্তে স্থগিত হয়ে যায় অমিত শাহের রাজ্য সফর। বদলে শনিবার স্পেশাল চার্টার্ড ফ্লাইটে দিল্লি উড়ে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee), প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal), বৈশালি ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষ প্রমুখ। অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর সন্ধ্যায় দিল্লিতেই পদ্মশিবিরে যোগ দেন তাঁরা।