শ্রীকান্ত ঠাকুর 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলাদেশের পাবনা জেলা থেকে নৌকাযোগে কোনও এক সময়ে ব্যবসার জন্য এই সাহা পরিবার এসেছিল বালুরঘাটে। তারপর সেখানেই সাহা পরিবারের একটি অংশ থেকে যায়। ক্রমে তাঁদের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি হয়। কিছু জমিদারিও লাভ করেন এই পরিবারের বংশধরেরা। আর তার পরেই সেই সমৃদ্ধির দিনে দুর্গাপুজো শুরু করেন তাঁরা। দেখতে দেখতে সেই পুজো ১৮১ বছরের পুজোয় পরিণত!


ক্রমেই সাহা পরিবারের সেই পুজো সকলের পুজো হয়ে ওঠে। দেশভাগ হওয়ার পরেও বাংলাদেশ থেকে তাঁদের আত্মীয়-স্বজনেরা এসেছেন বেশ কয়েকবার। দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে সাহা পরিবার কার্যত এক মিলনমেলায় পরিণত হত। কিন্তু সময় বদলেছে। চলে গেছে জমিদারি। তবে বদলায়নি পুজোর রীতি-রেওয়াজ। 


আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: শ্রীরামকৃষ্ণের স্মৃতিবিজড়িত ৩৫০ বছরের ভদ্রবাড়ির দুর্গাপুজো


কী রকম সেই না-বদলানো রীতি-রেওয়াজ?


স্বপ্নাদেশে এ বাড়ির দুর্গাপুজোয় গণেশ-কার্তিকের স্থানবদল হয়েছে। এখানে দুর্গা প্রতিমার ডানদিকে কার্তিক বাঁদিকে গণেশ। সাধারণত উল্টো অবস্থানটাই প্রচলিত। সাহা বাড়ির পুজোর আর এক বিশেষত্ব-- এখানে কোনও অন্নভোগ হয় না। লুচি-মিষ্টি-ফল দিয়েই দেবীর পাঁচদিনের পুজো হয়। 
জমিদারি যখন ছিল তখন সাহা বাড়িতে প্রায় প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ প্রসাদ পেতেন। এখন জমিদারি নেই, আর্থিক সচ্ছলতাও কমেছে সাহা পরিবারের। পুরনো বাড়িতে এখন শুধুই শূন্যতা। দুর্গামণ্ডপও স্বাভাবিক ভাবেই বহু পুরনো। আগে পুজোর ক'দিন প্রায় প্রতিদিনই গান-বাজনার আসর বসত। বাইরে থেকে আসতেন শিল্পীরা। এখন সেসব অতীত। 


শুধু নিয়ম মেনে পুজো হয়। এই পুজো দেখতে প্রচুর মানুষ আজও ভিড় জমান সাহা বাড়ির দুর্গা দালানে। সাহা পরিবারের প্রতিটি সদস্যই সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন এই পাঁচদিনের জন্য। কিন্তু বিগত দুবছর করোনার কারণে সবাই একত্রিত হতে পারেননি। এবছর পরিবেশ-পরিস্থিতি কী থাকে, তার উপরেই নির্ভর করবে পুজোর আয়োজন। 


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: সারদার জন্মভিটের প্রায় শতবর্ষ প্রাচীন পুজোর ঐতিহ্য আজও অটুট